কিডনী জটিলতার কারণে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের ৬৫ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তি। ঢাকায় কিডনির চিকিৎসা চলাকালিন সময়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়। কিন্তু রিপোর্ট আসার আগেই তিনি ফিরে আসেন নিজ গ্রাম চুয়াডাঙ্গার বেগমপুরে। পরে জানতে পারেন তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ২৯ মার্চ তিনি কিডনী জটিলতায় অসুস্থ হন। ২ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে নিজ বাড়ি চুয়াডাঙ্গার বেগমপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। ৬ এপ্রিল তিনি আরো বেশি অসুস্থ হন এবং তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে তিনদিন ভর্তি ছিলেন তিনি। এখান থেকে তাঁকে ঢাকা কিডনী হাসপাতালে রেফার করা হয়। দেশের পরিস্থিতির কারণে ওইসময় তাঁকে ঢাকায় নেওয়া যায়নি।
পরে ১২ এপ্রিল ঢাকায় নিয়ে ১৩ এপ্রিল ঢাকা কিডনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্দেহজনক হওয়ায় পরে আইইডিসিআরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা ১৫ এপ্রিল করোনা টেস্টের জন্য স্যাম্পল কালেকশন করেন। ওইসময় তিনি বেশ সুস্থ। ১৮ এপ্রিল কিডনী হাসপাতাল থেকে তিনি ফিরে আসেন চুয়াডাঙ্গার নিজ বাড়িতে। গত ২০ এপ্রিল ঢাকা থেকে ফোনে জানানো হয় তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবির জানান, ২০ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকেই বেগমপুর গ্রামের ওই ব্যক্তির বাড়িসহ প্রতিবেশিদের সব বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি কিডনী জটিলতায়ও ভুগছেন। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হবে নাকি ঢাকার পাঠানো হবে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি জানান, এ নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো দুজন।