আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য জনশুমারী ও গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্প বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে কুষ্টিয়াতে উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী, জোনাল অফিসার ও আইটি সুপারভাইজারদের চলমান ৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মত বিনিময় ও আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভার আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসক কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তথ্য হলো শক্তি, যে জাতির কাছে যতো তথ্য আছে সে জাতির পরিকল্পনা ততো সুষ্ঠু। আর এই তথ্য সংগ্রহের কাজটা আপনারা বাস্তবায়ন করতে চলেছেন। এসময় তিনি সবার সর্বাঙঙ্গীন ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য আহ্বান জানান।
গত ৩০ মে সোমবার কুষ্টিয়া সদর, কুমারখালী ও খোকসা উপজেলার শুমারি বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্তদের অংশগ্রহণে চারদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়। চলবে আগামী ২ জুন পর্যন্ত। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ইন্ডাস্ট্রি ও লেবার উইং শাখার যুগ্ম পরিচালক মো. আব্দুল হালিম ও কুষ্টিয়া জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল আলীম।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সুখেন কুমার পাল, কুমারখালী উপজেলার পরিংসংখ্যান কর্মকর্তা মো. আলতাফুর রহমান, খোকসা উপজেলার পরিসংখ্যান তদন্তকারী মো. শাজাহান আলী ।
উল্লেখ্য, দেশের প্রথম জনশুমারি হয় ১৯৭৪ সালে। পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী ‘আদমশুমারি’কে জনশুমারি বলা হয়। বিশ্বের সকল দেশে জনশুমারি এবং গৃহগণনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যাপকভিত্তিক পরিসংখ্যান কার্যক্রম। দশ বছর পর পর জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয়টি হয় ১৯৮১ সালে। ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম জনশুমারি যথাক্রমে ১৯৯১, ২০০১ এবং ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয়। করোনার কারণে ২০২১ সালে দেশে জনশুমারি করা সম্ভব হয়নি। যা এবার ১৫ থেকে ২১ জুন এটি পরিচালিত হবে। এই সময়কে ‘শুমারি সপ্তাহ’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। শুমারি শুরুর আগে ১৪ জুন রাত ১২টাকে ‘শুমারি রেফারেন্স পয়েন্ট বা সময়’ হিসেবে ধরা হয়েছে।