ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলের গেজেট বাতিল এবং পুনর্নির্বাচন দাবিতে পরাজিত বিএনপির দুই মেয়রপ্রার্থীর মামলা গ্রহণ করেছেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আদালত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনের সচিব, দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত মেয়রসহ ১৬ বিবাদীর নামে সমন জারির নির্দেশ দিয়েছেন।
আগামী ২ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা সিটি নির্বাচনে ‘অনিয়ম ও কারচুপির’ অভিযোগ তুলে ফল বাতিল ও পুনর্নির্বাচন দাবিতে সোমবার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন উত্তরে মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল। একই আরজি জানিয়ে মঙ্গলবার আবেদন করেন দক্ষিণে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন।
দুটি আবেদন গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনালের বিচারক ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ উৎপল ভট্টাচার্য সিইসি কেএম নূরুল হুদা, ইসি সচিব মো. আলমগীরসহ ১৬ বিবাদীকে হাজির হতে সমন জারি করেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ইশরাককে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন মেয়র নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
অন্যদিকে প্রায় একই ব্যবধানে তাবিথকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।
ভোটের দিন থেকেই বিএনপি বলে আসছে– নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে।
তাপস ও আতিককে নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন ৪ ফেব্রুয়ারি গেজেট প্রকাশ করে; ওই গেজেটের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থীরা।
ধানের শীষের দুই মেয়রপ্রার্থী নতুন নির্বাচনের নির্দেশনা চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন। তবে বিএনপির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে নির্বাচন কমিশন ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
সুত্র-যুগান্তর