তামাক কোম্পানির লোভনীয় প্রলোভন মূলক বিভিন্ন পুরস্কার ঘোষণা স্বাস্থ্য বিধি ক্ষুদ্র আকারে উল্লেখসহ চটকদার বিজ্ঞাপনে মেহেরপুরে তামাক সেবনে উৎসাহিত হচ্ছে যুব সমাজ। মেহেরপুর জেলায় তামাক কোম্পানির অর্থ, সার, বীজসহ নানা ধরনের সহায়তায় তামাকের আবাদ হচ্ছে।
তামাক আবাদের ফলে জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে। তামাক প্রস্তুত করতে গিয়ে ওই সকল এলাকার পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। নানা ধরনের প্রলোভনের ফলে থেমে নেই তামাক আবাদ। কৃষি বিভাগ থেকে তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করতে নেই কোন পদক্ষেপ কাথাগুলো বলেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের মেহেরপুর শাখার প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক রফিকুল আলম।
মুদি দোকানী মোঃ সাহাদৎত বলেন, সিগারেট কোম্পানি তাদের বিড়ি সিগারেট বিক্রি করতে বিভিন্ন অফার বা পুরস্কারের ঘোষণা দেয়। এতে আমরা দোকানীরা লাভের আশায় সেই সব কোম্পানির বিড়ি সিগারেট বিক্রির জন্য বেশি চেষ্টা করে থাকি। মোঃ তৈয়বুর রহমান বলেন, আমি অনেক দিন ধরে ধুমপান করেছি কিন্তু চিকিৎসা নিতে গিয়ে ডাক্তারের কথা শুনে ধুমপান ছেড়ে দিয়েছি। তবে এখন আমি অনেক ভালো আছি। আসলে সবাইকে ধুমপান পরিত্যাগ করা উচিৎ। ধুমপান করলে একদিকে টাকা অপচয় হয় অন্যদিকে শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি হয়।
সুবাহ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মঈন-উল-আলম বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর প্রত্যশা বাস্তবায়নে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে আইন বাস্তবায়নের পাশাপাশি তামাকের উপর কর বৃদ্ধি পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী। এতে তামাক পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলে যুব সমাজের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। ফলে তামাক সেবন থেকে যুব সমাজ রক্ষা পাবে।
তিনি আরো বলেন, স্কুল, কলেজ ও হাসপাল এলাকার মধ্যে বিড়ি সিগারেট দোকান নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত। ১৮ বছরের কম বয়সীদের নিকট কোন প্রকার বিড়ি সিগারেট বিক্রি না করে বেশি বেশি করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা তামাকের যে কোন বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা ব্যবসায়ীদের উপঢৌকন বন্ধ করা প্রয়োজন।
তামাকের সকল প্রকার বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। এতে করে যুব সমাজ তাদের প্রলোভন থেকে মুক্তি পাবে। মেহেরপুর জেলায় সুবাহ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহতায় বিভিন্ন সরকারি বেসকারি দপ্তর পাবলিক প্লেস যানবাহনসহ বিভিন্ন স্থানে ধুমপান নিরুসাহিত করতে বিলবোর্ড, লিফলেট বিতরণ, স্টিকার লাগানো কার্যক্রম অব্যহত রেখেছে।