বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসির হোসেনকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা যেন থামছেই না। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে কেবিন ক্রু তামিমা তাম্মিকে বিয়ে করেছেন এই ক্রিকেটার। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হলুদ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি হয়েছে বিবাহোত্তর সংবর্ধনাও। এরইমধ্যে অভিযোগ উঠেছে, ৮ বছরের কন্যাকে রেখে আগের স্বামীকে তালাক না দিয়েই নাসিরের সঙ্গে বিয়ে করেছেন স্ত্রী তামিমা তাম্মি।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাইসা ইসলাম বাবুনি নামক এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। যেখানে তামিমার স্বামী রাকিবের পক্ষে দাবি করা হয়েছে, এখনও তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে। তাদের ঘরে রয়েছে ৮ বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তানও। তালাক না দিয়ে নতুন বিয়ে করায় তামিমার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন রাকিব।
একবছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০১১ সালে বরিশালের যুবক রাকিব হাসানকে বিয়ে করেন তামিমা। বিয়ের পর তামিমার পড়াশোনার দায়িত্ব পড়ে স্বামী রাকিবের ওপর। দীর্ঘদিন পড়াশোনা করানোর পর চাকরিতে যোগ দেন তামিমা। এরপরই বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। স্বামীকে না জানিয়েই নারায়ণগঞ্জের হিন্দুধর্মাবলম্বী অলকের সঙ্গে ৬ মাস সংসার করেন তামিমা। পরে স্বামী রাকিবের কাছে ক্ষমা চেয়ে আবারো সংসার ঠিক রাখেন তিনি।
এরপর ভালোই চলছিলো তাদের সংসার। হঠাৎই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় ক্রিকেটার নাসির হোসেনের সাথে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বেরিয়ে চলে মেলামেশা। তবে তাদের এমন কর্মকাণ্ড কিছুটা আঁচ করতে পারেন রাকিব।
এসব বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমকে রাকিব বলেন, ‘চাকরির সুবাধে বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরে থাকলেও তামিমা এবার কবে দেশে এসেছেন সেটাও জানেন না তিনি। নাসিরের সঙ্গে বিয়ের পরই তিনি জানতে পারেন তার স্ত্রী দেশে এসে নাসিরকে বিয়ে করেছেন।’
স্ত্রীকে আর ফেরত নিতে চান না জানিয়ে রাকিব বলেন, ‘আমি এরইমধ্যে থানায় জিডি করেছি। তামিমাকে আমি আর ফেরত নিতে চাই না। তবে আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা ও না জানিয়ে বিয়ে করায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। তবে আপাতত নাসিরের বিরুদ্ধে আমি কোনো ধরনের আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি না।’
এদিকে নাসির ও তামিমার কাণ্ডে রাকিবের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে পুরুষ অধিকার নিয়ে কাজ করা ‘এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংগঠন। তারা ইতোমধ্যে রাকিব হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সংক্রান্তে রাকিবকে আইনগত সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি যেকোনো যৌক্তিক সহায়তায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে সংগঠনটি। শুরুর দিকে এ বিষয়ে অভিযোগ নিতে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের অনীহা থাকায় বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।