পৃথিবীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচী কোনদিনই সুন্দরভাবে প্রবাহিত হয়নি। জিউসের অত্যচার থেকে মানব জাতিকে বাঁচাতে এবং আলোর পথে নিয়ে যেতে আবির্ভাব হয়েছে প্রমিথিউসের। সুদীর্ঘ কাল ভারতবর্ষের মানুষকে অত্যচার, শোষণ ও বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। সুদীর্ঘ সময়ের ত্যাগ-সংযম ও সংগ্রাম কষ্টের মধ্য দিয়েই ব্রিটিশদের নিকট হতে মুক্ত হয়ে ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তানের জন্ম হয়েছে। পাকিস্তানের মানুষ ব্রিটিশ মুক্ত হয়ে স্বপ্ন দেখেছিল মুক্ত-স্বাধীন জীবনের স্বপ্নে। কিন্তু পাকিস্তানিদের অত্যাচার, শাসন-শোষণ ও বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানিদের এবং এই বৈষম্যের দীর্ঘ ২৩ বছরের অত্যাচার-বৈষম্য থেকে মুক্ত হতেই সংগ্রাম এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ প্রাণের জীবন দানের বিনিময়ে কেনা স্বাধীনতা। মানুষের যথার্থ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি এনে দিতে পারেনি। দীর্ঘ ৫৩ বছরের বিভিন্ন গোষ্ঠি ও রাজনৈতিক দলের ইস্তেহারে মানুষের মুক্তি বৃত্তাবদ্ধ হয়ে থেকেছে। মুক্তি সংগ্রামের প্রতীক ও দল হিসাবে আওয়ামীলীগ শেষের ১৫ টি বছর এই দেশের মানুষ শোষণ, শাসন ও ত্রাশসন বৈষম্যের মধ্যে ঘুরপাক খাইয়েছে। ঘুষ, গুম, খুন, দুর্নীতি, গণতন্ত্রের নামে এক দলীয় শাসন কায়েম করেছে। মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। বিদেশে অর্থ পাচার করে দেশকে কপদর্কহীন করেছে। ভোটবিহীন রাজনীতি ও কালচার সৃষ্টি করে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সৃষ্টি করেছে এক অসম বৈষম্য। বৈষম্যের স্বীকার এদেশের সাধারণ মানুষ ও প্রলাতারিয়েত মানুষ।
বৈষম্য আসলে কি?
বৈষম্যের অর্থ ব্যাপক-সূদুর বিস্তৃত। জাতীয় জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রেই বৈষম্য হতে পারে। বিগত দিনগুলিতে- ভোট বিহীন রাজনৈতিক দলগুলির যে অনাচার, অত্যাচারসর্বত্র সর্বক্ষেত্রে যে বৈষম্য-তা সামাজিক জীবন ব্যবস্থাপকে বিপর্যস্ত ও বিষিয়ে তুলেছে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক-সাহিত্য-সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য, কারিগরী ও প্রযুক্তির সর্বক্ষেত্রেই বৈষম্য ও শোষণের পরাকাষ্ঠা তৈরি করেছে। এই বৈষম্যের হাত হতে বাঁচানোর জন্যই ছাত্রদের জুলাই বিপ্লব ২০২৪। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন-অসমতার বিরুদ্ধে আন্দোলন, সংগ্রাম, শত শত হাজার হাজার মানুষের জীবন বিসর্জন বলিদান। নির্ভীক অকুতোভয় আন্দোলন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে রূপায়িত হয়। ৩৬ জুলাই (১৬ জুলাই) রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শহীদ আবু সাঈদের মর্মান্তিক ও বর্বরোচিত মৃত্যু এদেশের ছাত্র-জনতা আবাল বৃদ্ধ বণিতার হৃদয়ে কাঁপন ধরাতে সক্ষম হয়। প্রতিটি মানুষ এর প্রতিবাদ করে এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলন আরো বেগবান হয়। মানুষ একই ঐক্যে একই ঐক্যতানে সমর্থন জোগায়। আন্দোলনের গতির মাত্রা আরো বহুগুন বেড়ে যায়। মুক্তির স্বপ্নে লাখো লাখো মানুষ একসাথে রাস্তায় নেমে এসেছে। নতুন এক দুর্ণিবার তৃষ্ণায় রাজপথে তারা লিখেছিল কবিতা স্বপ্নের আবেগ দিয়ে বিপ্লবী অক্ষরে।
পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পনেরো বছরের বেশী শাসন আমলে শুধু কঠোর অত্যাচারীই হয়ে উঠেননি, হয়ে উঠেছিলেন নিমর্ম এক নিপীড়ক। সীমাহীন নিষ্ঠুরতার সংগে তিনি দমন করেছিলেন সব রাজনৈতিক দলকে। রাষ্ট্রের প্রতিটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠানকে পদানত করেছিলেন। নিবর্তনমূলক আইনে ও আইন বহির্ভূত পথে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করেছিলেন। শেখ হাসিনার নিষ্ঠুরতম রূপটি দেখা গিয়েছিল এই আন্দোলনের সময়েই। তার রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী এবং কয়েকটি বাহিনীকে দিয়ে এই রাষ্ট্রের নাগরিকের বিরুদ্ধে ব্যাপক এক হত্যাকান্ডে তিনি লিপ্ত করেন। এই হত্যাকান্ডের প্রয়োজন ছিল অকল্পনীয়। ঠিক যেন শত্রু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এক রাষ্ট্রের যুদ্ধ। রাষ্ট্র আর সরকারকে শেখ হাসিনা তার দলের পকেটে রুমালের মতো গুজে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা অসম্ভব সাহস দেখিয়ে বেঁকে বসল। তারা শুরু করেছিল সরকারি চাকরিতে অযৌক্তিক কোঠা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। কিন্তু শেখ হাসিনার হঠকারিতায় ছোট একটি গোষ্ঠীর দাবীকে জনতার আন্দোলনে রূপান্তর হওয়ার পেক্ষাপট তৈরি করে। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের বুদ্ধিদীপ্ত, কুশলী কর্মসূচি দিয়ে নানা শ্রেণী পেশার গোষ্ঠী বয়সের জনতাকে তাদের সঙ্গে একাত্মা করতে সক্ষম হয়। সবাই নির্ভয়ে বুক পেতে দাঁড়ায় সরকারের বিরুদ্ধে হত্যাযজ্ঞের সামনে। জনতা যখন একটি একাট্টা রাজনৈতিক সত্বা হয়ে সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে, কার সাধ্য তাকে ঠেকাই, বাকীটাতো ইতিহাস।
১৯৫২, ১৯৬৯, ১৯৭১, ১৯৯০ এবং সবশেষে ২০২৪ সালেই এখানে দ্রষ্টব্য। এসব ইতিহাস মুহুর্তে ব্যক্তির বদলে জনতাই কর্তা শক্তি বাংলাদেশের প্রতিটি উজ্জলতম ইতিহাস পর্বে জনতা জেগে উঠেছে। তার চেয়েও বড় কথা, জনতার আন্দোলন রাষ্ট্র, সমাজ বা বৃহত্তর ব্যবস্থাকে আমুল পাল্টে দিয়েছে। আর এসব প্রথম স্ফুরণ হয় সব সময় ছাত্রদের মধ্যে আমরা দেখতে পাই। তারা হয়ে উঠেছে আন্দোলনগুলোর প্রথম চালক। ছাত্রদের হাত ধরে জনতা জেগে উঠেছে। আর তাতে পাল্টে গেছে ইতিহাস। অথচ সেসব ঘটনা নিয়ে আমরা নিছক স্মৃতি কথা ও সাধারণ ইতিহাসই লিখেছি। বাংলাদেশের সামাজিক ইতিহাস এবং পাল্টে যাওয়া বর্তমানের সঙ্গে মিলিয়ে সেসব ইতিহাস পর্বে ভাববস্তুর পর্যালোচনা বলতে গেলে কখনোই করিনি। আমাদের ইতিহাসের ভাববস্তু তাই বারবার হয়েছে।
প্রশ্ন হলো ছাত্ররাই কেন রাষ্ট্রের প্রবল মুহুর্তে ঘটনার কেন্দ্র হয়ে উঠে?
পৃথিবী চলিষ্ণু। প্রবীণেরা যে পৃথিবীতে বেড়ে ওঠেন, পৃথিবীর তার থেকেও এগিয়ে যেতে থাকে। জীবনের যে নতুন সম্পর্ক আর চাহিদা জেগে উঠতে থাকে, তরুণেরাই সে স্পন্দন অনুভব করে সবার আগে, পুরোনো ব্যবস্থাকে না ভেঙ্গে ফেললে সেই নতুনকে পাওয়া অসম্ভব। প্রবীণেরা পৃথিবীতে অভ্যস্ত; স্থির জীবনের প্রত্যাশী। তরুণেরা পিছুটানহীন, বেপরোয়া নিজেদের জন্য নতুন পৃথিবীকে পাওয়ার তৃষ্ণায় দুঃসাহসী। পদে পদে নিষেধের বাধা, তার উদ্দেশ্যে বলতে পারে ‘নিষেধাজ্ঞায় এখন নিষিদ্ধ’। যে আবেগে ছাত্ররা এমন কথা বলেছিল প্যারিসের আন্দোলনে।
ছাত্র-জনতার সম্পর্কও চমকপ্রদ। যে কোন ছাত্রই মা বাবার ভবিষ্যত প্রত্যাশার মূর্ত প্রতীক। মা-বাবা ও তার সন্তানের সম্পর্ক বিশুদ্ধ আবেগ আর স্বপ্নের। ছাত্র ও জনতার সম্পর্ক তারই এক বিশুদ্ধ আবেগ আর স্বপ্নের। ছাত্র আর জনতার সম্পর্ক তারই এক প্রসারিত চিত্র মাত্র। কোনো ন্যায্য দাবীতে তরুণ ছাত্ররা ঝাঁপিয়ে পড়লে তার প্রতি জনতার সস্নেহ সমর্থন দেখা যায়। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে আমরা যেমনটি দেখেছি।
স্বাধীনতার আগে পরে এই ছাত্রদের ভাবাদর্শ ও বিন্যাসের পরিবর্তনও দেখার মতো। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সাধারণভাবে সব ধরণের ছাত্র-ছাত্রীরাই অংশ নিয়েছিল। তবে বাম সমাজতান্ত্রিক ধারার ছাত্ররাই প্রত্যক্ষ-প্রচ্ছন্ন নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিল। স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন বা ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে আন্দোলনের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিল বাম গণতান্ত্রিক ধারার ছাত্ররাই। তারা সম্পৃক্তও করতে পেরেছিল জনতাকে। ১৯৯০ সালে জেনারেল এরশাদের সামরিক স্বৈরশাসকের পতনের আন্দোলনে সরাসরি দেখা গেলো মূল ধারার রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনগুলোকে।
এবারের চিত্র একেবারেই আলাদা। এবারে মূলধারার ছাত্র সংগঠন সেখানে কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি। আন্দোলন ছিল স্বতঃস্ফুর্ত। সংস্কৃতি যজ্ঞেলিপ্ত রাজনীতির অভিলাষী একদল ছাত্র এ আন্দোলনে নেপথ্যে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাদের সফলতার পেছনে নানা কারণ ছিল। তাদের ভাষা তরুণদের আকর্ষণ করেছে। বয়ান নানা স্তর ও গোষ্ঠীর মানুষকে যুক্ত করেছে। কৌশল রাষ্ট্রের শক্তির ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
যে কোন অভ্যুত্থানে দুটি পর্ব থাকে। একটি পতনের, আরেকটি পত্তনের। প্রথমটি পুরোনোর বিদায়, পরেরটি নতুনের অভ্যুদয়। প্রথমটাই অসম্ভব কঠিন। দ্বিতীয়টি আরও কঠিন। নতুনের অভ্যুদয় কিভাবে কতটা হবে কিংবা আদৌ হবে কিনা, সেটা নির্ভর করবে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসাবে যে জনতার আবির্ভাব ঘটল, ভবিষ্যতে তা কেমন পরিপক্কতা দেখায় তার ওপর। তবে পত্তন বা গড়ে তোলার পর্বটি যে দিকেই গড়িয়ে যাক না কেন, ২০২৪ সালের এই আন্দোলন পত্তনের পর্বটি যেভাবে সফল হলো তা নিঃসন্দেহে ইতিহাসের অংশ হয়ে পড়েছে।
এরই মধ্যে অন্তবর্তী সরকার গঠিত হয়েছে এবং সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। গভীর আনন্দের কথা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস অন্তবর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ড. ইউনুস আজ বিশ্বব্যাপি নন্দিত। নোবেল কমিটি তাকে শান্তি পুরস্কার প্রদানের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপি শান্তি, সংহতি ও উন্নয়নের ধারায় তার অবদানের প্রতি শ্রদ্ধাবনত সম্মান দেখিয়েছে। এজন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে দেশের একজন নাগরিক হিসাবে অহংকার বোধ করি।
একটি স্থিতিশীল শৃংখলাপূর্ণ সরকার ব্যবস্থা এ মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। বিলুপ্ত গণতান্ত্রিক কাঠামো ফিরিয়ে আনা সময় সাপেক্ষ হলেও অভ্যন্তরীন শান্তি শৃংখলাকে এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পরিচালনা করতে হবে। স্বৈরাচার পতনের অব্যাবহিত পরই এমন কিছু অনভিপ্রেত ঘটনা দেখেছি, যা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই আশা করি সরকারের স্বাভাবিক প্রশাসনিক তৎপরতা নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
অনতি বিলম্বে আইন শৃংখলা পুনঃ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতীয় জীবনের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। জুলাই-আগস্টে সংঘঠিত সব হত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে। আধিপত্যবাদী শক্তি এই ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে হীন চক্রান্তে মেতে উঠেছে। সম্প্রসারণবাদ বারবার আমাদের মাতৃভূমিকে গ্রাস করতে চাচ্ছে। সম্মিলিতভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এই হীন চক্রান্তকে নস্যাৎ করতে হবে। এর জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়াকে পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
গণতন্ত্রহীনতার অথর্ব উলঙ্গ চর্চা ঘটেছে সমাজে ও রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের সুস্থ বিকাশ না ঘটলে এই গণ-বিপ্লবের সাফল্য অর্জিত হবে না। সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা করতে হবে। বর্ণিত দায়িত্বগুলো সম্পাদনের জন্য প্রয়োজন স্বদিচ্ছা, পরিকল্পনা ও আন্তরিকতা।
জুলাই বিপ্লব ২০২৪ এর মাধ্যমে বাংলাদেশে যে নব ধারার রাজনৈতিক মেরুকরণ শুরু হয়েছে তাকে বাস্তবায়ন করতে হবে। মানুষের মূল্যায়ন করতে হবে। যে আশা ও ত্যাগ নিয়ে মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল তার বাস্তবায়ন হলেই নতুন বাংলাদেশের মানুষের সম্মান বাড়বে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে পুনঃ জাগরণ ঘটবে। ত্যাগ, স্থিতি, শান্তি, সাম্য ও সমতার ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। নতুন প্রজন্মের ইচ্ছাও সেটাই। দেশ জাতি সেই মহান ব্রত-মহান বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশ দেখার প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে।
নতুন প্রজন্মকে অভিবাদন জানিয়ে বক্তব্য শেষ করছি। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের ভাষায়
“আয়রে নতুন আয় – সংগে করে নিয়ে আয়
তোর সুখ তোর হাসি গান
ফোটা নব ফুলচয় – ওঠা নব কিশলয়
নবীন বসন্ত আয় নিয়ে।”
জেগে থাকো নবীন – জেগে থাকো তরুণ
তোমাদের হাতেই হবে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ, কবি, গবেষক ও প্রাবন্ধিক