বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৪তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে টুয়াডাঙ্গায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আয়োজনে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শহরের রজব আলী মার্কেটস্থ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুবক্কর সিদ্দিক আবুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, তারেক রহমান হচ্ছে আগামীর রাষ্ট্রনায়ক। তিনি বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাঁকে তৎকালিন তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। এই অত্যাচারে তিনি অসুস্থ হলে পরে জামিনে মুক্ত হয়ে এখন লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
এছাড়াও বিএনপি চেয়ারপার্সন ও তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বর্তমান সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্জন কারাগারে রেখেছে। তাঁকে সঠিকভাবে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে না। এই সরকার বেগম জিয়াকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকার এখন কী করছে, তা আর ভাবার সময় নেই।
এখন একটাই চিন্তা ও ভাবনা করতে হবে বেগম খালেদা জিয়াকে কীভাবে জেল থেকে মুক্ত এবং তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। আর বেগম জিয়ার জেল থেকে মুক্তি, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং এই সরকারের পতনের জন্য কঠোর আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।’
জেলা জাসাস-এর সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিমুল হাবিব সেলিমের উপস্থাপন আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি, জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, পৌর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি খায়রুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান মুক্ত ও পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
মেপ্র/আরপি