তাল বিক্রি করে সংসার চলে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নবী মিয়ার।
জিকে সেচ প্রকল্পের সরকারি জমিতে কোন রকমে মাথা গোজার ঠাই রয়েছে নবী মিয়ার। বৃদ্ধ বাবা, ছেলে-মেয়ে নিয়ে আট সদস্যের পরিবার। ভ্যান চালিয়ে এই সংসারটাকে চালাচ্ছিলেন। আর এখন তালসাস বিক্রি করে চলছে তার। এলো করোনা। আয় রোজগার বন্ধ। দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে পারছিলেন না তিনি। এরমধ্যে ঝূর্ণিঝড় আম্ফানে উড়িয়ে নিয়ে গেলো থাকার ছোট ছোট তিনটি ঘর। এখন মাথা গোজার ঠাঁইটুকু নেই।
অসহায় হয়ে পড়েছে পুরো পরিবারটি। টাকার অভাবে ঘরগুলোও ঠিক করতে পারছেন না। এখন তাল বিক্রি করছেন রাস্তার মোড়ে মোড়ে। এ থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে কোনো রকমে চলছে।
নবী মিয়া বলেন, ‘ঝঁড়ে বাড়ি ঘর সব ভেঙে গেছে। তিনটা ছোট ছোট মাটির ঘর ছিল। তিনটাই ভেঙে গেছে। ঝড়ের দিন তো ঘর ছেড়ে পৌরসভার ভবনে আশ্রয় নিয়ে বেঁচেছি সবাই। এখন থাকবো কোথায় ঠিক নেই। রোজ বৃষ্টি হচ্ছে। পরিবারের লোকজন নিয়ে মহাবিপদে আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একেতে থাকার যায়গা নেই, তার ওপরে এই করোনার কারণে ভ্যান চালাতে পারছি না। এখন কী দিয়ে যে কী করব বুঝতে পারছি না।’
নবী মিয়া বলেন, ‘সরকারি লোকজন বাড়িতে গিয়ে সব দেখে গেলো। ঘর ঠিক করে দেওয়ার কথা বললেও এখন আর কোনো খোঁজ নেই।’
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস বলেন, ‘আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ ওই ভ্যান চালক নবী মিয়ার বাড়িতে আমরা গিয়ে দেখে এসেছি। ঘর ভেঙে যাওয়ায় তিনি বিপদে পড়েছেন। সরকারিভাবে তাকে সহযোগিতার করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’