ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে অনেকেই বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেন। কেউ পার্লারে যান। কেউবা ঘরোয়া উপায়ে রূপচর্চা করে থাকেন। অনেকে আবার বিভিন্ন প্রসাধনীও ব্যবহার করেন। ত্বকের হারানো ঔজ্জ্বল্য ফিরে পেতে চেষ্টার কমতি করেন না কেউই। তাতেও অনেক সময় সুফল পাওয়া যায় না। ত্বক রুক্ষ ও নির্জীব হয়ে যেতে থাকে। ত্বক বিশেষজ্ঞরা এর সমাধানও দিয়েছেন। তাদের মতে, সমস্যার উৎস থেকে সমাধান করা জরুরি। অর্থাৎ এত চেষ্টার পরেও কেন ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়ছে সেই কারণ অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। জেনে নেওয়া জরুরি নিজেদের কোন অভ্যাসের কারণে ত্বক তার নিজস্ব ঔজ্জ্বল্য হারাচ্ছে।
ধূমপানের অভ্যাস: সিগারেটে নিকোটিনের পরিমাণ বেশি। অত্যধিক ধূমপানের কারণে নিকোটিন ত্বকের প্রতিটি কোষে পর্যাপ্ত পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহে বাধা দেয়। নিকোটিন ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি কোলাজেন এবং প্রোটিন তৈরি হতে দেয় না। ধূমপান অকাল বার্ধ্যক্যের কারণ হতে পারে।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুখ না ধোয়া: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বকের যত্ন নেওয়া রূপ রুটিনের একটি বড় অংশ। সারাদিন ধরে ত্বকের কোষে ধুলা ময়লা জমতে থাকা। সেগুলো দীর্ঘক্ষণ ত্বকে থেকে যাওয়ার ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে এবং রাতে শোয়ার আগে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নেওয়াটা জরুরি।
রাতে দেরি করে ঘুমানো: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তার প্রভাব শুধু শরীরে নয়, ত্বকেও পড়ে। রাতে কোলাজেন তৈরি করে ত্বক। পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমালে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। চোখের নীচের কালো দাগছোপের কারণও ঘুম না হওয়া। ত্বক ভালো রাখতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।