রাজশাহীর বাঘায় খরায় ঝরছে আমের গুটি। সেই গুটি আম উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে। প্রাকৃতিকভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় আমচাষিরা হতাশার মধ্যে পড়েছেন।
আড়ানীর আমচাষি নওশাদ আলী বলেন, প্রচণ্ড খরার কারণে আমের বোটা নরম হয়ে ঝরে পড়ছে। সেই আম মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন শত শত মণ ঝরছে আমের গুটি। প্রতিটি বাগানে ব্যাপক আমের গুটি রয়েছে। এই গুটি টিকে থাকলে চলতি বছর আমের বাম্পার ফলন হবে।
আড়ানী হামিদকুড়া গ্রামের আমচাষি ও ব্যবসায়ী বাদশা হোসেন বলেন, গত ৫-৬ মাস ধরে এ অঞ্চলে বৃষ্টি না হওয়ায় আমের গুটি টিকিয়ে রাখা দায় হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত সময়ে মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে বৃষ্টি দেখা না গেলে ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করেন তিনি।
আড়ানী গোচর গ্রামের আমচাষি সেলিম আহম্মেদ সুমন বলেন, গাছে যে পরিমাণ গুটি রয়েছে, তা প্রচণ্ড খরার কারণে গাছের গোড়ার রস না থাকায় আমের গুটি ঝরে পড়ছে। গাছে যে পরিমাণ আমের গুটি আছে, তাতে ভালো লাভবান হব। তবে যে পরিমাণ আমের গুটি ঝরছে, তাতে লাভের চেয়ে লোকসানের আশঙ্কায় বেশি।
তবে তিনি বলেন, বৃষ্টির দেখা না পেলে আমে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
আড়ানী গোচর গ্রামের মোড়ে গুটি আম ক্রেতা রিপন হোসেন বলেন, আমি প্রতিনিয়ত এখানে এই গুটি আম ক্রয় করছি। এক সপ্তাহ আগে ২/৩ টাকা দরে ক্রয় করেছি।
গোচর গ্রামের গুটি আম বিক্রেতা রাসু মণ্ডল বলেন, আমার নিজস্ব তেমন বাগান নেই। প্রতিদিন অন্যের বাগানে ঝরে পড়া আম সংগ্রহ করে এনে বিক্রি করি। তবে এ বিষয়ে বাগান মালিকরা কিছু বলে না।
বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, প্রকৃতিকভাবে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আমের গুটি ঝরছে। তবে গাছের গোড়ায় পানি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আম এখনও খাওয়ার উপযোগী হয়নি। তার পরও খাটা খাওয়ার জন্য কেউ কেউ মোড়ে মোড়ে ক্রয় করে করছেন।