ত্রাণ কার্যক্রম ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলো ঠিকমতো হচ্ছে কি না, এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবেন সচিবেরা। এ জন্য প্রতি জেলায় একেকজন সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার সকালে গণভবন থেকে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আট জেলার কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একেক জেলায় একেকজন সচিবকে দায়িত্ব দিয়েছি যে এই ত্রাণ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার কাজগুলো যথাযথভাবে হচ্ছে কি না, তা খোঁজখবর নেবেন এবং সেই রিপোর্ট আমাকে দেবেন। সাথে সাথে আমাদের যারা দলীয় লোকজন আছেন, তাঁদের নির্দেশনা দেওয়া আছে দলের পক্ষ থেকে। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত কমিটি করে দেবে। সেখানে যাঁদের ত্রাণ পাওয়ার কথা, তাঁরা যেন পান। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজটি করবে।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন কাজ তুলে ধরে তাঁদের প্রশংসাও করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ এলে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। সাহসের সাথে সেটা মোকাবিলা করতে হবে। তিনি ১৯৭১ সালের কথা তুলে ধরে বলেন, মনে সাহস নিয়ে করোনাভাইরাসকে মোকাবিলা করতে হবে এবং বাঙালিকে বিজয়ী হতে হবে। তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ আসে, দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়। তা মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। শুধু জনগনের সহযোগিতা চাই এই জন্য, এই রোগের প্রাদুর্ভাব যেন ছড়িয়ে না পড়ে। সেদিকে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে চলবেন।’
ধান কাটার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ধান কাটতে যাবে, তাদের যাতায়ত ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘খাদ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আজকে এই ভাইরাসের জন্য বিশ্বব্যাপী মন্দা সৃষ্টি হবে। আগামীতে হয়তো বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে যদি আমরা খাদ্য উৎপাদন করে খাদ্য মজুত রাখতে পারি, তাহলে আমরা সেই দুর্ভিক্ষে পড়ব না, বরং অনেককে সাহায্য করতে পারব। সেই ব্যবস্থা এখন থেকে নিতে হবে।’ কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। আগামী তিন বছর অর্থনীতির চাকা যাতে সচল থাকে, সেটা মাথায় রেখে এই প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এবার ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য সংগ্রহ করা হবে।
পণ্য সরবরাহে যাতে বাধার সৃষ্টি না হয়, এ ব্যাপারে সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবন যেন স্থবির না হয়, না সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। রোজার সময়ে মানুষের যেন কষ্ট না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখার কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক আগেই বলেছিলাম এপ্রিল মাসটা আমাদের জন্য কষ্টের হবে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়াতে পারে। এ মাসে সবাইকে সাবধানে থাকার জন্য সতর্ক করা হয়েছিল। ঠিক তাই হয়েছে। এ মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বে যখন হাজার লোক মারা যাচ্ছে, সেখানে আজকে এপ্রিল মাসের ২০ তারিখ, এখন পর্যন্ত আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। আমাদের জনগণ যদি আরেকটু সচেতন থাকে, আরেকটু নিজেকে সুরক্ষিত রাখে, তাহলে এটা সকলের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ এলে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। সাহসের সাথে সেটা মোকাবিলা করতে হবে। তিনি ১৯৭১ সালের কথা তুলে ধরে বলেন, মনে সাহস নিয়ে করোনাভাইরাসকে মোকাবিলা করতে হবে এবং বাঙালিকে বিজয়ী হতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘দুর্যোগ আসে, দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়। তা মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। শুধু জনগনের সহযোগিতা চাই এই জন্য এই রোগের প্রাদুর্ভাব যেন ছড়িয়ে না পড়ে। সেদিকে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে চলবেন।’ সূত্র-প্রথম আলো