হয়রানি মূলোক মিথ্যা মামলা ও ফেসবুকে অপপ্রচার চালানোয় অভিযুক্ত মহিদুলের দৃষ্টান্তমূলোক শাস্তির দাবিতে দর্শনা কেরুজ চিনিকলের ১০৪ জন শ্রমিক ও কর্মচারী দর্শনা প্রেসক্লাবে গতকাল সোমবার বিকাল ৫ টায় সাংবাদিক সন্মেলন করেছেন।
সাংবাদিক সেন্মলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শ্রমিক কর্মচারীদের পক্ষে আক্তার খান শান্তি। লিখিত বক্তেব্যে তিনি বলেন, কেরু এ্যান্ড কো¤পানীতে স্থায়ী পদ শূন্য হওয়ায় মৌসুমী হতে স্থায়ী করণ প্রক্রিয়া বন্ধ ছিলো। শ্রমিক কর্মচারীর নেতৃবৃন্দ তিন বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে মন্ত্রানালয় থেকে মৌসুমী থেকে স্থায়ী করণ নীতিমালা অনুমোদন করে আনেন।
নীতিমালা অনুসারে দর্শনা কেরুজ চিনিকলের ১০৪ জন মৌসুমী শ্রমিক ও কর্মচারী লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক ভাইবা দিয়ে স্থায়ী করণের সুযোগ পায়। চিনিকল কর্তৃপক্ষের প্রেরিত পত্র মোতাবেক স্ব-স্ব স্থানে যোগদানও করি। চাকুরী বিধিমালা অনুসারে বেতনভূক্ত হই। চাকুরী না পেয়ে চিনিকলের আলোচিত শ্রমিক মহিদুল ইসলাম বাঁকাপথে হাঁটতে থাকে। সদর দপ্তরের নীতিমালা সম্পর্কে মিথ্যা অপপ্রচারার চালাচ্ছে। এমনি অনেকের নামে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি শুরু করে। এতও ক্ষান্ত হয় না সে ফেসবুকে বিভিন্ন জনের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালাতে থাকে। যা রীতিমত বিব্রতকর ও মানহানিকরও বটে।
এরি মধ্যে আমরা তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও করেছি। ইতপূর্বে মহিদুল চিনিকলে চাকুরী করার সুবাদে ২০২০-২১ মৌসুমে চুক্তিভিত্তিক সিডিএ হিসাবে দায়িত্ব পালন কালে ভুয়া চাষী বানিয়ে ঋণ নিয়ে আত্নসাৎ করে ধরা পড়ে। কমিটি কর্তৃক তদন্ত করে তাকে দোষী সাবস্থ করা হয়। আত্নসাতের টাকা তার তাহার পিএফ ফান্ড হইতে কর্তন করা হয় ও অবশিষ্ট টাকা নগদ জমা করে। তাহার বিরুদ্ধে পিবিআই রিপোর্টও আছে। চুরির অপরাধে চাকুরী যাবার কথা থাকলেও মানবিক কারণে তৎকালিন কর্তৃপক্ষ তা করেননি। শুধু তাই নয় আমরা জানতে পেরেছি মহিদুল ইসলাম একজন প্রতারক। সে একাধিক বিবাহিত। তার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের একটি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক ডিজঅনার মামলা চলমান। আমাদের কয়েকজনের নামে মিথ্যা চাদাবাজি মামলা করেছে। ঘটনার তারিখে আমরা অনেকেই ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছিলাম।
এরিমধ্যে মিথ্যা মামলা করে নিজে একটি দৈনিক হাজিরায় জৈব সার কারখানাই কাজ হাতিয়ে নিয়েছে। তারপরও চক্রান্ত থেমে নেই তার। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় ঘুরে দাড়াতে বাধ্য হয়েছি। আমরা ১০৪ জন একমত হয়ে এরি মধ্যে প্রতারক মহিদুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছি এবং আরও মামলা প্রক্রিয়াধিন আছে। সে নিজেকে ধোয়াতুলশির পাতা মনে করছে। তার প্রতারণা, চুকরী অবস্থায় চুরি করে ধরাপড়ার বিষয়টি সকলের জানা দরকার। তাই আপনাদের লেখনির মাধ্যমে প্রতারখ মহিদুলের মুখোশ উন্মচন করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।