চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌরসভার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের (৯ নম্বর ওয়ার্ডের) সাবেক কাউন্সিলর আশুকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তার কাছে থাক মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মী রাশেদ (২৩) এর বিরুদ্ধে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুর মসজিদ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আহত আশুরদ্দীন আশু (৪৫) পৌরসভার (৯ নং ওয়র্ডের) ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের সাবেক কাউন্সিলর ও রবজেল মন্ডলের ছেলে।
জানাগেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে ঈশ্বরচন্দ্রপুর বড় মসজিদ মোড়ে আশুকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ডাকে একই গ্রামের মসজিদ পাড়ার সানিরুলের ছেলে রাশেদ। এরপর আশু তার নিজ মোটরসাইকেল রেখে রাশেদের ডাকে একটু সামনের দিকে এগিয়ে গেলে দুজনের মধ্যে কথোপকথন হয়। পরে সে পিছনের দিকে ফিরে মোটরসাইকেলের দিকে গেলে হঠাৎই আচমকা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর আশুর কাছে থাকা পালসার মোটরসাইকেলে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাৎক্ষণিক আশপাশের লোকজন ছুঁটে এসে রক্তাক্ত আহত অবস্থায় আশুকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং মোটরসাইকেলের আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। পরে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে তার শরীরের মাথায়, পিঠে, হাতে ও পায়ে ১৫টি সেলাই করা হয়েছে বলেও জানাগেছে।
আহতর পরিবারের পক্ষ থেকে জানিয়েছেন, এটা রাশেদের পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা। তবে কেন কুপিয়েছে তা সঠিক জানা নাই। কিন্তু রাশেদ ছাত্রলীগের একজন কর্মী এবং এলাকার নামকরা মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে মাদক ও মারামারি সহ একাধিক মামলা রয়েছে। এমন দুর্ধর্ষ মাদক ব্যবসায়ী এলাকার জন্য চরম হুমকি। তাই এরকম দুর্ধর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় নিয়ে সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি। আর এই কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা জানতে পেরেছি ঈশ্বরচন্দ্রপুরে সাবেক কাউন্সিলর আশুকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তবে আমরা এখনো পর্যন্ত কোন লিখত অভিযোগ পাইনি। কিন্তু কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তা খতিয়ে দেখে আসামি আটকের চেষ্টা চলছে।