দর্শনা সরকারি কলেজে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে বর্ণিল আয়োজনে পিঠা উৎসব পালিত হয়েছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শফিকুল ইসলাম।
ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে ১৭টি স্টলে শোভা পেয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী পিঠা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল পকান পিঠা, জড়া পিঠা, কুলি পিঠা, রস পিঠা, দুধ পাকন, পটি সাপটা, প্রজাপতি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, গোলাপ পিঠা, গাজরের হালুয়া, ক্ষীর সন্দেশ, কলা পিঠা এবং পায়েশ।
প্রতিটি স্টলের নামেও ছিল সৃজনশীলতা, যেমন রোভার পিঠাপুলি, রসুই ঘর, পিঠা মেলার ঝুড়ি, পেটুক বাড়ীর পিঠা, পার্বণী পসার, ছয় সাথীর পিঠা ঘর, পিঠার ডালায় বন্ধুত্ব, পিঠা পুলির পার্বণ, পিঠা সংসদ, পিঠার টানে বাঙালীর ঘরে, হৃদয় হরণ পিঠা ঘর, শীত ও তারুণ্যের পিঠা পার্বণ, পৌষ পার্বণের পিঠা বিলাস, মনোপুলি, ঢেঁকির বৈঠক খানা এবং জে এ এস পিঠা ঘর। অতিথিরা স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং প্রশংসা করেন।
উৎসবের উদ্বোধনের পর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পিঠা উৎসবের আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “গ্রামবাংলার শীত মৌসুমে কৃষাণীর ঘরে তৈরি পিঠা আমাদের ঐতিহ্যের প্রতীক। চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষকরা শীতের শুরুতেই খেজুর রস ও গুড় উৎপাদন করেন। এ মৌসুমে ধানের ঘ্রাণে কৃষকের ঘর ভরে যায় এবং পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন সবাই। নতুন প্রজন্মের কাছে এই ঐতিহ্য পৌঁছে দিতে এ ধরনের আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাসের প্রভাষক মতিউর রহমান, বাংলা বিভাগের মুকুল হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের কায়ইম জাহান, দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক জিএস ও দর্শনা পৌর বিএনপি সমন্বয়ক এনামুল হক শাহ মুকুল, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর, দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক ইকবাল হোসেন, দর্শনা সিডিএল-এর পরিচালক আবু সুফিয়ান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তানভীর আহম্মেদ এবং ছাত্র শিবিরের দর্শনা সরকারি কলেজের সাধারণ সম্পাদক হামজা ফরাজি।
পিঠা উৎসব শেষে প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইসলামী শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মোঃ জাকির হোসেন।