আশ্রহীন মানুষের আশ্রয়স্থল করতে নানা কর্মসুচি বা¯ত্মবায়ন করে চলেছে সরকার। এ কর্মসুচির মধ্যে জমি আছে ঘর নেই, আবার জমি ঘর কোনটায় নেই। সে সকল ছিন্নমূল মানুষের জন্য জমি ও ঘর তৈরী করে দিচ্ছেন সরকার। ঠিক তখনি চুয়াডাঙ্গার কুন্দিপুর গ্রামে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে একটি পরিবারের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। ফলে খোলা আকাশের নিচে মানবতের জীবন যাপন করছে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিবার।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের কুন্দিপুর গ্রামের কপিল উদ্দিনের ছেলে ভারত ওরফে দিল মোহাম্মদরে সাথে ১৭ নং নেহালপুর মৌজার মাদার ম-লের ছেলে মোফাজেলের সাথে বসত ভিটার ৩ কাটা জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলে আসছিলো। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক কাগজপত্র পর্যালচনা করে মামলার বাদী ভারতের পড়্গে ডিগ্রী জারি করেন। সেই সাথে জমিতে থাকা সকল প্রকার স্থাবর অস্থাবর সম্পদ উচ্ছেদের নির্দেশ প্রদান করেন। তারি আলোকে গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে জেলা জজ আদালতের নাজির নজরম্নল ইসলামসহ হাবিবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম দর্শনা থানা পুলিশের সহযোগিতায় নালিশি জমিতে থাকা সকল প্রকার স্থপনা ভেঙ্গে ফেলেন। উচ্ছেদের ফলে ৫ সদস্য বিশিষ্ট মোফাজেলের পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নেয়।
মোফাজেলের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ১৭ বছর এই ভিটাই বসবাস করছি। আমাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে এমন কোন নোটিশ পায়নি। সকালে হঠাত করে দেখি আদালতের লোকজন এবং পুলিশ এসে সবকিছু ভাঙ্গা শুরু করে দিয়েছে। আমরা মূর্খ মানুষ এতকিছু বুঝি না। আর ৪-৫ দিন পর আমার বড়মেয়ের বাচ্চা হবে। এখন তিন মেয়ে নিয়ে কোথায় উঠব জানিনা। জমিজমা বলতে জীবনের সকল উর্পাজন দিয়ে এই বসত ভিটা টুকই কিনে ছিলাম। আদালতের রায় বাস্তবায়ন করতে আসা জজ আদালতের নাজির নজরুল ইসলাম বলেন, আইনি বিষয় আইনগত ভাবেই মোকাবেলা করতে হয়। আমরা বিজ্ঞ আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতেই এসেছি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা গ্রামের অনেকেই বলেন, সত্য মিথার বেড়া জালে পড়ে মোফাজলেেক বসত বাড়ি ছাড়তে হচ্ছে। তবে ঘটনাটি অমানবিক ও দু:খজনক।