চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার কুড়ুলগাছিতে মোঃ শহিদুল ইসলাম এর পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ পাওয়া যায়। শহিদুল ইসলাম জানায় আমার আপন ভাই মোঃ মনিরুল ইসলাম (৪৫), পিতা-মৃত ইছাহক মন্ডল এবং তার স্ত্রী ববিতা বেগম (৩৫), মেয়ে মুন্নি খাতুন (২০) এবং জাহানারা বেগম (৬০),স্বামী- মোঃ নবী সকলের একই গ্রাম-কুড়ুলগাছি, থানা দর্শনা জেলা-চুয়াডাঙ্গা এই ৪ জন জোরপূর্বক আমার পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখল করছে।
উক্ত জমি জায়গা নিয়ে আমার সহিত দীর্ঘদিন তারা বিরোধ চালিয়ে আসছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে আমার পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক সম্পূর্ণ গায়ের জোরে দখল করার পায়তারা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমার পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে গত অনুমানিক ২ মাস পূর্বে উক্ত জমিতে ঘর বাড়ী নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।
আমি বাঁধা প্রদান করতে গেলে তারা আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে যার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গদের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করলেও আমার ভাই মনিরুল ইসলাম সহ ৪ জন গায়ের জোরে কোন সালিশ মীমাংসা না করে উপরন্ত জোরপূর্বক ঘরবাড়ী নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ০৫/১২/২০২০ খ্রিঃ সকাল অনুমান ১০:৩০ ঘটিকার সময় আমার জমিতে ঘর নির্মাণ করতে নিষেধ করলে আসামীরা আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারধর করার জন্য উদ্যত হয়। ঐ সময় আশেপাশের প্রতিবেশীরা আমাদেরকে রক্ষা করে।
এজন্য ঘটনাটি আইনানুগ ভাবে সমাধানের নিমিত্তে দর্শনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার জমির দাগ এসএ-৪৪৯০ এবং জমির পরিমাণ ৪৫ শতক জমির মধ্যে সাড়ে ১১ শতক জমি নিয়ে বিরোধ।
এ বিষয়ে দর্শনা ওসি মাহবুবুর রহমান কাজলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মোঃ শহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে দর্শনা থানায় লিখিত অভিযোগ করছে আমারা এ বিষয়ে ঠিক তদন্ত করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।