চুয়াডাঙ্গার দর্শনার ঐতিহ্যবাহী ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান কেরু এ্যান্ড কোম্পানির স্প্রিট তৈরীতে ব্যবহৃত কাঁচামাল চিটাগুড় (মোলাসেস) এর পরিত্যাক্ত তরল স্পেন্ট ওয়াস সংরক্ষণের অরক্ষিত ঝুঁকিপূর্ণ ৭০ ফুট গভীর হাউজের সড়কের পাশসহ চতুর্দিকে লৌহ বাউন্ডারি নির্মান করেছে কেরু এ্যান্ড কোম্পানির নবাগত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান।
জানাগেছে, কেরু এলাকায় “কেরুজ জৈবসার” তৈরীর লক্ষে ২০১২ সালে দর্শনা রেলবাজার-আনোয়ারপুর রাস্তার পাশে স্প্রিট তৈরীতে ব্যবহৃত মোলাসেসের অব্যবহৃত পরিত্যাক্ত তরল বজ্র সংরক্ষণের জন্য রাস্তার দুইপাশে ২ টি গভীর হাউজ তৈরী করে কেরু এ্যান্ড কোম্পানি। যার একটির গভীর ৫০ ফুট আর অন্যটির ৭০ ফুট। ঝুকিপূর্ণ গভীর হাউজ দুটি কেরুর কর্মচারিদের আবাসিক এলাকা ও রাস্তার পাশে হওয়ায় সেইসময় লোহার তারকাটা দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরী করা হয়৷ পরবর্তীতে ২০১৯ সালে তারকাঁটা মরিচাধরে নষ্ট হয়ে ছিড়ে যায়।
এসময় রাস্তায় চলাচলরত পথচারী ও আবাসিক এলাকার মানুষের মাঝে তৈরী হয় আতঙ্ক। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের অভিযোগ কেরু এ্যান্ড কোম্পানির পূর্বের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদ্বয় সহ বড় কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বা লিখিত দিয়েও তারা পুনোরায় হাউজগুলোর তারকাঁটা দিয়ে সংস্করের ব্যাবস্থা করেনি। নবাগত ব্যবস্থাপনা পরিচালক যোগদানের ১ মাসের মধ্যে রাস্তার পাাশের গভীর হাউজের চতুর্দিকে লোহার রড দিয়ে বাউন্ডারি নির্মান করেছে। কেরু এলাকায় শিশু-কিশোরদের, গবাদিপশু নিয়ে বসবাসরত এলাকাবাসী ও রাস্তায় চলাচলকারী পথচারী মাঝে ফিরেছে আনন্দ, মুছছে আতঙ্কের ছায়া। এদিকে বাউন্ডারি নির্মানের খবরে প্রশংশায় ভাসছে কেরু এ্যান্ড কোম্পানির নবাগত ব্যবস্থপনা পরিচালক।
কেরুর কোয়াটারে বসবাসকারী গনেস দাস বলেন, আমার বাসায় ছোটা বাচ্চারা আছে। আমার ঘরের সামনে হাউজটি ৫/৬ বছর যাবৎ তারকাঁটা বাদে পড়েছিলো। বাচ্চাদের নিয়ে সবসময় অতঙ্কে থাকতাম আমরা পরিবারের সবাই।
এ বিষয়ে কেরু এ্যান্ড কোম্পানির নবাগত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে আমার নিজ উদ্দ্যগে পুকুরের চারপাশ কাটা তারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। এতে করে গরু ছাগল শিশু বাচ্ছারা চিটা গুড়ের পুকুরে না পড়ে। এ সব জৈবসারের কাঁচামাল স্পেন্ট ওয়াসের হাউজ অরক্ষিত অবস্থায় থাকার খবর জানতে পেরে নতুন করে লোহার রডদিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরী করেছি।