৫ দফা দাবিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানি চিনিকলে গেইট মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চিনিকল সমূহ বন্ধের সরকারি পরিকল্পনার প্রতিবাদে বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশন ও বাংলাদেশ চিনিকল আখচাষি ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত এ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল শনিবার সকাল ১০ ঘটিকায় কেরু শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের আয়োজনে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানির ক্রেন কেরিয়ারে গেট মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।
কেরু এন্ড কোস্পানি চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ও বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক তৈয়ব আলীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত গেইট মিটিং এ বক্তব্য রাখেন, কেরু এন্ড কোস্পানি চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মাসুদুর রহমান, দর্শনা আখচাষি কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ওমর আলী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, কেরু এন্ড কোস্পানির শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ ফারুক আহমেদ, ও সহ-সাধারণ সম্পাদক খবির উদ্দিন, কেরু এন্ড কোস্পানি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নর সদস্য হাফিজ আহমেদ এবং শ্রমিক নেতা ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ।
কেরু এন্ড কোস্পানির শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, গেইট মিটিং এর মাধ্যমে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হলো, ২৮ নভেম্বর শনিবার স্ব-স্ব চিনিকল এলাকায় আখচাষি ও শ্রমিক-কর্মচারীদর সমম্বয়ে মানববন্ধন, প্রত্যেকটি চিনিকল এলাকায় পোস্টার, ব্যানার ও লিফলট বিতরণ, একই সঙ্গ ১৫টি চিনিকলে মাড়াই মৌসুমের তারিখ নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত কোন চিনিকলর বয়লারে স্লো ফায়ারিং করা যাবে না।
এছাড়া গেইট মিটিং থেকে ৫দফা দাবী বাস্তবায়নের দাবী জানানো হয়, এগুলা হলো, চিনিকল নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মচারীদর ৫-৬ মাসের বকেয়া বেতনসহ সকল পাওনাদি এবং অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদর গ্রাচ্যুইটির টাকা পরিশাধ, চিনিকল বন্ধের প্রক্রিয়া বাতিল, আসন্ন মাড়াই মৌসুম (২০২০-২০২১) পূর্ব যাবতীয় মালামাল সরবরাহ করেত হবে , আখ উৎপাদনের স্বার্থে সার,বীজ ও কীটনাশকসহ জরুরী উপকরণসমূহ সরবরাহ করতে হবে ও আখচাষিদর আখের বকেয়া মূল্য পরিশোধ করত হবে।
কেরু এন্ড কোস্পানি চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ও বাংলাদেশ চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক তৈয়ব আলী বলেন, বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্ত চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের ওপর চাপিয়ে চিনিকল বন্ধের পায়তারা করা হচ্ছে, যা আমাদর জন্য দুর্বিষহ পরিবশ তৈরি করছে।