চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের স্থল বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশী হাই কমিশনার এইচ ই মুহাম্মদ ইমরান।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা গেঁদে ল্যান্ড পোর্ট এলাকা পরিদর্শন শেষে বুধবার দুপুরে সীমান্তের শূণ্য রেখায় পৌঁছালে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এরপর দর্শনা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, বন্দর বাস্তবায়ন কমিটি, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স এবং দর্শনা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশী হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান বলেন, স্থলবন্দর গুলো কি অবস্থায় আছে সে গুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখছি। দুই দেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব পর্যায়ে ভাল সম্পর্ক রয়েছে।
এখানকার ব্যবসায়ী যারা স্থল বন্দর বাস্তবায়ন করতে চায় তাদের কথা আমি শুনেছি। সমন্বিত ভাবে প্রতিবেদন তৈরি করে উভয় দেশের সরকারের সাথে বসবো।বৃহস্পতিবার ভোমরা ও শুক্রবার বেনাপোল বন্দর পরিদর্শন করবেন হাই কমিশনার। চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও ভারতের গেঁদে দিয়ে স্থলবন্দরের কর্যক্রম চলমান রয়েছে। এ বন্দর দিয়ে রেলপথে মালামাল আমদানি-রপ্তানি হয়। সড়ক পথে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা ভ্রমন করেন।
এখন এ স্থলবন্দর দিয়ে সড়ক পথে আমদানি-রপ্তানি চালুর ব্যাপারে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্ববৃন্দ কাজ করছেন। দর্শনা অংশে বন্দরের কাজ অনেকখানি অগ্রসর হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভারতও কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছে। খুব শিগগিরই এ বন্দরে পুর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালু হবে । দর্শনা স্থল বন্দর কার্যক্রমের মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ভারতের কলকাতায় নিযুক্ত হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, কলকাতার মিনিস্টার বি এম জামাল হোসেন, কলকাতার প্রথম সচিব শামছুল আরিফ, নয়াদিল্লির কাউন্সিলর শাহেদ আজিম, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, বিজিবি ৬ ব্যাটালিয়রে পরিচালক লেফট্যান্যন্ট কর্ণেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ,পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, ৬ বিজিবির উপ-পরিচালক মেজর নিস্তার আহম্মেদ, দামুড়হুদা ইউএনও দিলারা রহমান, দর্শনা শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার মোঃ শাফায়াত হোসেন, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক প্রমুখ।