দর্শনার পল্লী চিকিৎসক সজলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দেহভোগের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভক্তভোগী ওই নারী পল্লী চিকিৎসক সজলের নামে থানা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক সজল ডাক্তারের চিকিৎসালয় কেন্দ্রে যায়।
এ ঘটনা নিয়ে দর্শনা পুরাতন বাজার ও এলাকা জুড়ে বইছে আলোচনা- সমালোচনার ঝড়।
অভিযোগে জানা যায়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দর্শনা পুরাতন বাজারের নিপা মেডিকেল হলের পল্লী চিকিৎসক সজল ডাক্তারের (৪৫) সাথে পরিচয় হয় ৩৫ বছর বয়সী স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীর। তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথােপকথনেরে একপর্যায় ঘণিষ্টতা হয়। এ ঘণিষ্ঠতার সূত্র ধরে মিথ্যা বিয়ের প্রলোভনে পল্লী চিকিৎসক সজল ওই নারী সহিত অবৈধ্য সম্পর্ক গড়ে তোলে।
তাদের মধ্যে অবৈধ্য সম্পর্ক স্থাপনের পর ওই নারীকে বিবাহ করবেনা বলে হুমকি-ধামকী দেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগকারীর অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছন, এ বিষয়ে চলতি মাসের ১ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার সময় আমি এতটুকু বলি যে আপনি আমাকে বিবাহ করবেন বলে আমার সহিত সম্পর্ক স্থাপন করে। স্পর্কের কথা বলাতে সে আমাকে সম্পূর্ন রুপে অস্বীকার করে এবং আমাকে বিয়ে করবেনা এ মর্মে হুমকি প্রদান করে। তার হুমকি-ধামকী ও ভয়ভীতি দেওয়াতে আমি নিরাপত্তাহীনতা গ্রস্ত হয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা করিতে দর্শনা থানায় অভিযুক্ত সজল ডাক্তারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে সজল ডাক্তার বিভিন্ন মহলে শুরু করেছে তদবির। তবে এ ঘটনাটি মিমাংশায় উভয়পক্ষ বসবে বলে একটি সুত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সজল ডাক্তার বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে ওই নারী। তবে সে তার ভূল বুঝতে পেরে থানা থেকে তার করা অভিযোগ তুলে নিয়েছে।
এবিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নীতিশ বিশ্বাস বলেন, এমন একটি অভিযোগ আমি পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে আমি তদন্ত করছি। তদন্ত সত্যতা মিললে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে অভিযোগ তদন্ত করছে থানার এসআই নীতিশ বিশ্বাস।তবে অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।