চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনার বড়বলদিয়ায় শফিকুল হত্যা মামলার ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে দর্শনা থানা পুলিশ। গত ১/১/২০২১ তারিখে সন্ধ্যায় দর্শনা থানাধীন বড়বলদিয়া গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের আঘাতে শফিকুল ইসলাম (৪০) নিহত হয়।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের বড়বলদিয়া গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ৪ ছেলে বিল্লাল, বিশারত, জালাল, শফিকুল যৌথ ভাবে একই গ্রামের বগার কাছ থেকে ৬ কাঠা জমি ক্রয় করে। কিন্তু সেই জমি ছিলো নিহত শফিকুলের চাচা কালামের দখলে।
তবে এই জমি একাধিকবার দখল চেয়ে তার সুরাহা না হলেও গতকাল তা সমাধানের একপর্যায়ে চলে এসেছিলো। আগামী চৈত্র মাসেই জমির দখল দিতে রাজি হয় কালাম। এদিকে শফিকুল ও তার বড় ভাই বিল্লাল এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে বাড়িতে চলেও যাচ্ছিলো।
কিন্তু কালামের স্ত্রী মেগি বেগমসহ তার মেয়ে তাজেরা, শাহানাজ ও সুলতানের মেয়ে তানিয়া হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। তারই এক পর্যায়ে মৃত আমির হোসেনের ছেলে কালাম (৫৮) ও তার জামাই সুলতান পিতা-সাত্তার আলী পাশে পড়ে থাকা বাঁশ ও কাঠ দিয়ে আঘাত করে শফিকুল ও তার বড় ভাই বিল্লাল (৪৮) কে। এই আঘাতে বিল্লাল আহত হলেও গুরুতর ভাবে রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যায় শফিকুল। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে নিহত’র বড় ভাই বাদি হয়ে গত ১/১/২০২১ শুক্রবার রাতেই তার চাচা কালাম ও কালামের জামাই সুলতানসহ ৭ জনকে আসামি করে দর্শনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিল।
এ ঘটনায় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান কাজল দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে ঘটনার পরের দিন ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতার কৃত আসামিরা হলেন ১। মোঃ আবুল কালাম (৫৫), পিতা-মৃত আমির হোসেন, শ্বশুর মৃত সামেদ আলী, গ্রাম-বড় বলদিয়া, ২। মোঃ সাগর আলী (২৪), পিতা-মোঃ ওমেদুল ইসলাম, গ্রাম ওসমানপুর (বেদেপোতা), ৩। মোছাঃ মেগীরন খাতুন (৫০), স্বামী-মোঃ আবুল কালাম, ৪। তাজেরা বেগম (৩৮) পিতা-কালাম, গ্রাম-বড়বলদিয়া, থানা-দর্শনা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান কাজল বলেন, আমরা এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছি এবং খুব দ্রুত বাকি আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।