একাধাকি ট্রাক চুরি মামলার আসামী রিয়াদ এবার জনতার হাতে পাকড়াও হয়েছে। যশোর থেকে ট্রাক চুরি করে আনার পথে পথে ঘটিয়েছে একাধীক সড়ক দূর্ঘটনা। আহত হয়েছে ৫ জন। ছাগল মরেছে ৬টি। ভেঙ্গেছে মোটর সাইকেল ও পাখি ভ্যান। ট্রাক উল্টে খাদে ফেলে পালানোর সময় জনতার হাতে আটকের পর দেয়া হয়েছে উত্তম মাধ্যম। বিজিবি পৌছাতে রক্ষা পেলে জীবন। যশোর শেকাটি বাবলা তলার ইমরান আলীর ছেলে মুরাদ হোসেন বাড়ির সামনের ঢাকা রোডে তার ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট ১১-৬৫২৭) রাখেন।
প্রতিদিনের মত গত পরশু সোমবার ওই স্থানে ট্রাক রেখে বাড়িতে যান মুরাদ। সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায় রাত দেড়টার দিকে ৩ জন ট্রাকটি চুরি করে পালাতে। ট্রাক চুরি করে চালিয়ে আসছিলো দর্শনা মোহাম্মদপুরের শফি উদ্দিন মিস্ত্রির ছেলে একাধীক ট্রাক চুরি মামলার আসামী রিয়াদ (২২)। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে ট্রাক চুরি করে আনার পথে পথে ঘটিয়েছে সড়ক দূর্ঘটনা। তার বিরুদ্ধে গত ৫ আগষ্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার সাথে সাথে দেশব্যাপী বিক্ষুব্ধ জনতা সাবেক এমপি আলী আজগার টগরের বাসভবনে আগুন দেয়। পরে রিয়াদ রাতে টগরের বাড়িতে চুরি করতে গেলে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে এতে তার দুই হাত নাক পুড়ে যায়। দুইদিন চিকিৎসার পর যশোর থেকে ট্র্যাক চুরি করে পলানোর সময় আটক হয় রিয়াদ।
জানা গেছে জীবননগরে দূর্ঘটনা ঘটিয়ে দ্রুতগতিতে আসার পথে দর্শনা আকন্দবাড়িয়া বটতলায় কয়েকটি টোঙ দোকান ভেঙ্গেছে ট্রাকে। বটতলা থেকেই ট্রাকের পিছু নেয় ক্ষতিগ্রস্থরা।
এ সময় আকন্দবাড়িয়া গাংপাড়ার মালেকের মোটর সাইকেল ট্রাকের চাকায় গুড়িয়ে দেয়। কলুপাড়ার লিখনের ছেলে আবু সাঈদের হাত ও পা ভাঙ্গে। একই সড়কে ৬টি ছাগল মরেছে ওই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে। ছাগলের মালিকেরা হলেন হেগো মিয়ার ছেলে শরিফুল ও শমসের মন্ডলের ছেলে মুকুল। আকন্দবাড়িয়া শামসুল ইসলাম সড়কের ধারে গাছের তলে বসে থাকা ভ্যান চালক সহ ১২ জনের মধ্যে ৮ জন রক্ষা পেলেও আহত হয়েছে ৪ জন।
আহতরা হলেন আকন্দবাড়িয়া ফার্মপাড়ার রহমতুল্লাহর ছেলে ভ্যান চালক ওয়াজেদ আলী (৪৬), চাঁদ আলীর ছেলে আক্তার (৬০), নুর ইসলামের ছেলে হারুন (৩০) ও আশা মন্ডলের ছেলে মিন্টু (৪০)। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ দিকে ওয়াজেদের ভ্যান ট্রাকের ধাক্কায় ভেঙ্গে গুড়িয়ে গেছে। এ সময় ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার ধারের খাদে পরে যায়। ঘটনাস্থল থেকে চালক অভিযুক্ত চোর রিয়াদ পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া করে ধরা হয় ঈশ্বরচন্দ্রপুর থেকে। দেয়া হয় গণধোলাই। এক পর্যায়ে উথলী বিশেষ ক্যাম্পের টহল বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করে রিয়াদকে নেয় তাদের হেফাজতে। পরে বিজিবি সদস্যরা রিয়াদকে সোপর্দ করেছে দর্শনা থানা পুলিশে। পরপরই দর্শনা থানা পুলিশ পৌছায় ঘটনাস্থলে।
এ দিকে খবর পেয়ে ট্রাক মালিক দুপুর ১২ টার দিকে পৌছান ঘটনা ট্রাক মালিক মুরাদ আলী। খাদ থেকে ট্রাক উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। এঘটনায় মুরাদ আলী বাদি হয়ে যশোর সদর থানায় আটককৃত রিয়াদ সহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা বলেন,আমরা রিয়াদকে ৫৪ ধারায় কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছি তবে তার বিরুদ্ধে যশোর কোতয়ালী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।