চুয়াডাঙ্গা জেলার একমাত্র ভারী শিল্প কারখানা কেরু এ্যান্ড কোম্পানী। এ কোম্পানির প্রায় সাড়ে ৩৪ কোটি চিনি বিক্রি করেছে কেরু এ্যান্ড কোম্পানি। সেই সুবাদে প্রতিদিন প্রায় কেরু এ্যান্ড কোম্পানির চিনি লোড হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টি ট্রাক। কিছু মাদক ব্যাবসায়ীর ড্রাইভার সাথে যোগসাজসে ঐ চিনি ভর্তি ট্রাকে করে ফেনসিডিল ও ইয়াবা পাচার হচ্ছে বলে একটি সুত্র বলেছে।
গত শনিবার রাত ৯ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়ান্দা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে দর্শনার জুবায়ের ও ইন্তাজকে চিনি ভর্তি ট্রাকসহ ১১০ বোতল ফেনসিডিল সহ তাদের কে আটক করে। ট্রাক ড্রাইভার পলাশ ট্রাকের জানালা লাফ দিয়ে পালিয়ে রক্ষা পায়। পুলিশ জানিয়েছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার রাতে জেলা গোয়ান্দা পুলিশের একটি চৌকস দল এস আই ইবনে খালিদ, এ এস আই বিজন কুমার সঙ্গীয় ফোর্সসহ রাত ৯ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সি এ্যান্ড বি পাড়ায় অভিযান চালান। এ সময় জীরননগর চুয়াডাঙ্গা সড়কের ছ,মিলের সামনে একটি চিনি ভর্তি ট্রাককে সিগনাল দেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে দর্শনা শান্তি পাড়ার ট্রাক ড্রাইভার পলাশ সটকে পড়ে। আটক করা হয় দর্শনা আনোয়ারপুর হঠাৎ পাড়ার আব্দুল মালেকের ছেলে জুবায়ের হোসেন (৩৫) ও একই এলাকার হামিদ দারোয়ানের ছেলে ইন্তাজ(২৫) কে। চিনি ভর্তি ট্রাক তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় ভারতীয় ১১০ বোতল ফেনসিডিল।
গোয়েন্দা পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে তারা জানান উদ্ধারকৃত ফেনসিডিল দর্শনা শান্তি পাড়ার মাদক ব্যাবসায়ীর গডফাদার সোহাগ ওরফে ঘটুর। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্র্যব্য নিয়ন্ত্রন আইনে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এ দিকে কেরু এ্যান্ড কোম্পানির গাফিলতির কারনে এ সব মাদক পাচার হচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি সুত্র। এ ব্যাপারে কেরি এ্য্ডা কোস্পানীর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক দৃষ্টি দিলে এ সব মাদক ব্যাবসায়ীরা ছাড় পাবে না বলে আশা করছে সাধারন মানুষ।
দর্শনা প্রাতনিধি: