আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্টিত হচ্ছে এসএসসি সমমানের পরিক্ষা। কিন্তু দর্শনা দারুসসুন্নাত সিদ্দিকিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসার প্রিন্সিপালের ভুলের কারনে পরিক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের দাখিল পরিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বাপ্পির। দর্শনা দারুসসুন্নাত সিদ্দিকিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসার দাখিল পরীক্ষার যাবতীয় ফি জমা দিলেও মাদরাসা প্রিন্সিপালের ভুলে ফরম ফিলাপ হয়নি ওই ছাত্রের।
ঘটনাটি ঘটেছে দর্শনা দারুসসুন্নাত সিদ্দিকিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসায়। দাখিল পরিক্ষার্থী হলো দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। জানা যায় তিন মাস আগে পরিক্ষা ফিলাপের জন্য ৩ হাজার টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মাদরাসা প্রিন্সিপাল শফিউদ্দীনের কাছে জমা দেয় মাহফুজুর রহমান বাপ্পি নামের ওই ছাত্র।
সে হিসাবে আজ বৃহস্পতিবার পরিক্ষার সবপ্রস্ততি নেয় সে। গতকাল বুধবার মাদরাসায় রেজিষ্ট্রেশন কার্ড নিতে গিয়ে জানতে পারে তার ফরম ফিলাপই হয়নি। মাহফুজুর রহমান বাপ্পি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে কান্না জড়িত কন্ঠে বলে এজন্য আমাকে ১ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
এ বিষয়ে মাদরাসার প্রিন্সিপাল শফিউদ্দিনের সাথে মুঠোফোন কথা বললে তিনি বলেন, পরিক্ষার্থী আরেকজনের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়েছে। তুমি ফরম ফিলাম করছো তার রশিদটা নিয়ে এসো।সে ছাত্র রশিদ দেখাতে পারিনি। তিনি আরও বলেন সরকারী সিদ্ধান্ত হয়েছে তিনটায় ফেল করলে পরিক্ষা দেওয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন ওই পরিক্ষার্থী ৫ টায় ফেল করেছে। কিন্তু দুইজন ফেল করলেও তাদেরকে পরিক্ষায় অংশ নিয়েছে সেজন্য ওকে ফরম ফিলাম করতে বলা হয়েছে। এখন কি কারনে টাকাটা জমা হয়নি বুঝতে পারছিনা।
এ ঘটনায় মাদরাসা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। এবং মাদরাসার পিন্সিপালের শাস্তির দাবি করেছে অভিভাবক মহল।