ফেসবুকে পরিচয় তারপর বন্ধুত্ব। শুরু হয় কুশল বিনিময়। একপর্যায় প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা খোয়ালেন দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু। প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে মামলা করলে পুলিশ ওই চক্রের একজন সদস্যকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। গ্রেফতাকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের রিমাণ্ডে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে মামলার তদন্তকারি অফিসার।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন দর্শনা ইসলাম বাজার পাড়ার শহীদ মহাসিন আলীর ছেলে সাবেক জেলা পরিষদের প্রশাসক ও দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জুর সাথে ফেসবুকের ফেক আইডির মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থানার মৈসাদান গ্রামের আবু সায়েদের ছেলে ছরফুদ্দিনের (৪৫) সাথে। চলতে থাকে মেসেস আদান প্রদান। একপর্যায় প্রতারক ছরফুদ্দিন নিজেকে সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দেয় এবং সিরয়ির রাজধানী দামেস্কোতে কর্মরত আছে। বন্ধু হিসাবে কিছু উপহার সামগ্রী পাঠাতে চাই। যে কথা সেই বিমান বন্দর কাস্টমস থেকে একটি ফোন আসে মাহফুজুর রহমান মঞ্জুর কাছে। আপনার নামে সিরিয়া থেকে একটি পার্সেল এসেছে ছাড় করে নিয়ে যান। ছাড় করতে ৪৫ হাজার টাকা লাগবে। যতক্ষণে তিনি বুঝতে পারছেন প্রতারকচক্রের ফাঁদে পেড়েছেন, ততক্ষণে ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে খুয়ে ফেলেছেন। এ ঘটনায় মাহফুজুর রহমান মঞ্জু ৫/০৯/২০২০ তারিখে ছরফুদ্দিনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করে দর্শনা থানায় একটি প্রতারণার মামলার এজাহার দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ৯ মাস ২৪ দিনের মাথায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মামলার তদন্তকারি অফিসার দর্শনা থানার এসআই আব্দুর রহমান গত ২৯ জুন ঢাকা থেকে সইফুর রহমান মিঠু নামের একজনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত মিঠুকে ৩১ জুন আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, মিঠুকে রিমাণ্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রতারক চক্রের বাকি সদস্যদের আইনের আওতায় আনা যাবে। তবে বিষয়টি নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।