মােবাইল ফােনে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সন্দীপের এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করেছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিন চব্বিশ পরগনাের বাসিন্দা প্রাণ কৃষ্ণ দাস। এরপর সেই মেয়েকে বিয়ে করতে সে তার মা কাজলী দাসকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধভাবে যশাের বেনাপােল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসে। বিয়ে শেষে ফেরার সময় বাঁধে বিপত্তি।
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে তাদের পুলিশ সােপর্দ করে। তারপর তাদের ঠাঁই হয় ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে। এরপর সাজা শেষে আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ইমিগ্রশন চেকপােস্টর শুন্য রেখায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ভারতে ফেরত পাঠায়।
দর্শনা ইমিগ্রশন চেকপােস্ট ইনচার্জ এসআই আতিকুর রহমান জানান, ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টম্বর দালাল চক্রের মাধ্যমে যশােরের পুটখালী সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। এরপর চট্টগ্রাম জেলার সন্দীপ গিয়ে ছেলের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করায়। বউকে বাংলাদেশে রেখ বিয়ের ১৫ দিন পর ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টােবর দালালের মাধ্যমে দেশে ফেরার সময় বিজিবির টহল দলের সদস্যরা তাদের আটক করে পুলিশ দেয়। মহশপুর থানা পুলিশ তাদের আদালতে সােপর্দ করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানাের আদেশ দেন। ভারতের দক্ষিণ-চব্বিশ পরগোনা জেলার ফুলতলী থানার মথুরানগর কলােনী লম্রপাড়া প্লটের বাসিন্দা প্রাণ কৃষ্ণ দাস পেশায় একজন মৎসজীবি। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা অনাদায় আরা ১দিন সাজা হয় তাদের। এরপর কারাগারে ছিল ৪ মাস ২১ দিন। কারাভােগ শেষ চেকপাস্ট দিয়ে আনুষ্ঠানিভাব হস্তান্তর করা হয় মা ও ছেলেকে।
এ সময় ভারতীয় বিএস এফের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন,ভারতীয় গেদে কোম্পানি কমান্ডার ভিতা সিং ইচ,
ভারতীয় ইমিগ্রেশন ইন্সপেক্টর এস কে বোস কাষ্টমস সুপার সুব্রত মন্ডল,কৃষ্ণগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর শামসুর রহমান, কৃষ্ণগঞ্জ থানার ডি আই বি এ এস আই সাধন মন্ডল।
বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা আইসিপি ইনচার্জ সুবেদার মন মোহন, দর্শনা চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আতিকুর রহমান, দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই টিপু সুলতান, ডি এস বি এ এস আই মাসুদ রানা, এ এস আই আব্দুল মোমিন দু’দেশের বিজিবি-বিএসএফ এবং ইমিগ্রশনের আরও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।