ভয়ংকর হুমকির মুখে চুয়াডাঙ্গার বেগমপুরের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মাঝপাড়ার বাসিন্দারা। ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের একটি পুকুর খননের কারণে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
যে কারণে আতঙ্কিত গ্রস্থ হয়ে রয়েছে পুকুরের চারি পাশে বসতবাড়ির বসবাসকারীরা। তবে চেয়ারম্যানের সকল অন্যায়কে ভয়ে মুখ বুঝে নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিষয়টি প্রশাসনিক ভাবে ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা সহ সচেতন মহল।
জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন বেগমপুর ইউনিয়নের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মাঝপাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে দর্শনা থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও বেগমপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী বিশ্বাস নিজ বসত বাড়ির সন্নিকটে স্কেভেটর ভিড়িয়ে একটি পুকুর খনন করছে। সে পুকুরের মাটি ট্রাক্টর যোগে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে। এ পুরেরর মাটি বিক্রির কারণে অতি গভীর করে খনন করা হচ্ছে পুকুর। যে কারণে আশপাশের বাড়ি-ঘর পড়েছে হুমকীর মুখে। সেই সাথে চরম নিরাপত্তা হীনতা সহ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে বসবাসরত বাড়ির মানুষ জন।
এদিকে নামপ্রকাশ না করার সর্তে পুকুরের পাশে বসবাসরত একজন বলেন, চেয়ারম্যানের পুকুরের পাশে আমার বাড়ি। তাছাড়া পুকুরের চারিপাশে একাধিক ব্যাক্তির ইটের ও টিনের ঘর-বাড়ি রয়েছে। এখানে বসবাসরত ঘর-বাড়ির মাঝখানে এত গভীর করে একটি পুকুর খননের কারণে আমি সহ আশপাশের বাড়ির লোকজন হুমকীর মুখে রয়েছি। সেই সাথে স্ত্রী-সন্তান সহ পরিবারের সকলে নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। রাতে ঘুমালে মনে হয় কখন যেন ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে পুকুরগর্ভে তলিয়ে যায় এবং প্রাণহানী ঘটে। তবে চেয়ারম্যান প্রভাবশালী হওয়ায় এতবড় অপরাধের প্রতিবাদ করার কেউ সাহস পাচ্ছেনা। তাই বিষয়টি প্রশাসনিক ভাবে ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা সহ সচেতন মহল।
এ বিষয়ে আহম্মদ আলী বিশ্বাস বলেন, এ পুকুর খননের অনুমতি নেওয়া আছে ডিসি স্যারের।
বেগমপুর ইউনিয়ন (ভুমি) অফিসের সহকারী কর্মকর্তা সেলিম বলেন, পুকুর খননের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে অনুমতির বিষয়ে চেয়ারম্যান আহম্মদ আলীর ছেলে কয়েকদিন আগে কোন কাগজ এসেছে কিনা খোঁজ নিতে এসেছিল আমার কাছে। তবে কোন অনুমতি আছে কিনা আমার জানা নেই।