চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় ভারতগামী মালবাহী ট্রেন ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ ৭ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতরা সকলেই মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার শহরেরর মহিলা কলেজ পাড়ার বাসিন্দা।
রবিবার রাতে দর্শনা জয়নগর চেকপোস্ট সীমান্তের রেল ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহতরা হলেন, মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা শহরের বজলুর রহমানের স্ত্রী নাসিমা খাতুন (৪৫), মহিউদ্দীনের ছেলে মিজানুর রহমান (৪৫), শের আলীর ছেলে মইনুল ইসলাম (৪২), তার সহোদর আব্দুল হান্নান (৪৯), আব্দুল মালেকের ছেলে তরিকুল ইসলাম (২২), একই এলাকার ফাতেমা খাতুন (০৬) ও ইয়ামিন হোসেন (০৭)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাায়, রোববার সন্ধ্যায় দর্শনা চেকপোষ্ট দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরা পাসপোর্টধারী যাত্রীরা মাইক্রো বাসযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এ সময় জয়নয়ন চেকপোস্ট অতিক্রম করতে গেলে ভারতগামী একটি মালবাহী ট্রেন ও
মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মাইক্রোবাস দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গুরুতর আহত হয় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৭ জন মাইক্রোবাসের যাত্রী। পরে বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করা স্থানীয় ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শামীমা ইয়াসমিন জানান, আহতদের মধ্যে নাসিমা খাতুন, মইনুল ও হান্নানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ দিকে আমাদের গাংনী প্রতিনিধি জানান, মইনুল ইসলাম ষোলো টাকা ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য। তিনি সহ ৪ জন ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। গতকাল সন্ধ্যার পর দর্শনা চেক পোস্ট হয়ে দেশে ফিরেন। তাদের কে আনতে পরিবারের সদস্যরা মাইক্রো যোগে দর্শনা যায়। সেখান থেকে ফিরার পথে ভারতগামী মালবাহী ট্রেনের সাথে মাক্রোটি ধাক্কা খায়। এতে ৭ জন গুরুতর আহত হয়।
চুয়াডাঙ্গা ও দর্শনা প্রতিনিধি