চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনার অনিবার্ণ থিয়োটার প্রতি বছর জাঁকজমক ভাবে ২১শে ফেব্রুয়ারি পালন করে, আয়োজন করে একুশে মেলা ও নাট্য উৎসব, এ বছরেরও জাঁকজমক ভাবে পালন করা হবে ২১ শে ফেব্রুয়ারি। আর মাত্র ১দিন পর দর্শনা অনিবার্ণ থিয়োটারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একুশে মেলা ও নাট্য উৎসব।
ইতোমধ্যে দর্শনা ডাক বাংলো চত্বরকে ঘিরে সাজ সাজ রাব। বঙ্গবন্ধুর শত বর্ষ পুর্তি ও অনিবার্ণের ৩যুগ পুর্তিতে একুশে মেলা ও নাট্য উৎসব এবছর অন্য রকম বর্ণিল সাজে রঙিন হয়ে উঠেছে আশেপাশের দেওয়াল গুলো। নানা কথার মালা এবং আলপনায় শোভা পাচ্ছে ডাক বাংলো চত্বর।
উৎসবকে ঘিরে দিন-রাত যেন অনিবার্ণ নাট্যকর্মীর্দের চোখে ঘুম নেই। রং তুলির ছোঁয়ায় নানা রং এর নানা বর্ণমালায় রাঙিয়ে দিয়েছে মেলা চত্বর।
এবারের একুশে মেলা ও নাট্য উৎসবের গাহি সাম্যের গান, যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাঁধা ব্যবধান, যেখানে মিশেছে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম, খীষ্টান এই শ্লোগান ধারণ করা হয়েছে। এ শ্লোগানকে সামনে রেখে দর্শনা অনিবার্ণ থিয়েটার সপ্তাহ ব্যাপী দুই বাংলার থিয়েটার গ্রুপের সংমিশ্রণে একুশে মেলা ও নাট্য উৎসবের আয়োজন করেছে।
গত মঙ্গলবার অনেক রাত পর্যন্ত অনিবার্ণ কর্মীদের দেখা গেছে ব্যানার, ফেস্টুন, কাঠে পেরেক ঠুকা, মঞ্চ তৈরী ও মেলা চত্বর সাজানোর কাজে ব্যস্ত রয়েছে। আগামী একুশে ফ্রেরুয়ারী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে যশোর বিবর্তণ থিয়েটারের নাটক উন্মুক্ত মঞ্চে ”পাঁইচো চোরের কেচ্ছা” নাটক পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে একুশে মেলা ও নাট্য উৎসব শুরু হবে।
এছাড়া প্রতিদিন বিকালে মেলা চত্বরে খোলা মঞ্চে বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েদের পথ নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বর্ণ লেখা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ২২ ফ্রেরুয়ারী আনোয়ার হোসেনের লেখা ও নির্দেশনায় নাটক জিষ্ণু যারা পরিবেশিত হবে।
মেলার দ্বিতীয় দিন কলকাতা বেলঘরিয়ার নাটক ”টমেন জেরী”, ৩য় দিন কলকাতা পূর্ব-পশ্চিম থিয়েটারের নাটক ”পটলবাবু ফিল্ম স্টার”, ৪র্থ দিন চুয়াডাঙ্গা অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠনের নাটক ”নীল সিন্দুরীয়া”, ৫ম দিন ঢাকা প্রাঙ্গনেমোর থিয়েটারের নাটক কনডেম সেল, ৬ষ্ঠ দিন ঢাকা শব্দ নাট্যচচার্ কেন্দ্রের নাটক ”তৃতীয় একজন” ও ৭ম দিনে ঢাকা সময় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর পিবেশনায় নাটক ”ভাগের মানুষ” প্ররিবেশনের মধ্যে দিয়ে একুশে মেলা ও নাট্য উৎসবের সমাপ্তি হবে বলে জানা গেছে।
মেপ্র/আরজেএম