চুডাডাঙ্গাা দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় যুবলীগ কর্মী পল্টু হত্যা মামলার আসামীদের ফাঁসি দাবীতে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী সহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধব কর্মসূচী পালন করেছে।
মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার দিকে দর্শনা রেল বাজারে ১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রাস্তার দুই পাশে হাজারো মানুষ এই মানববন্ধনে উপস্থিত হয়। মানববন্ধনে আওয়ামীলীগর নেতা কর্মী।
এলাকার নারী, পুরুষ সাধারন মানুষ সহ সর্বস্তরের দর্শনাবাসীর এক টাই দাবী যুবলীগ কর্মী পল্টু হত্যা মামলার আসামীদের ফাঁসি চাই। এর আগে মঙ্গলবার সকালে এই মানববন্ধনে দর্শনাবাসী সকলকে উপস্থিত হওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়।
মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দর্শনা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক আরিফ। বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, দর্শনা পৌর আওয়মীলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো: মতিয়ার রহমান , দর্শনা পৌর আওয়মীলীগের সভাপতি মো: শহিদুল ইসলাম, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা মডেল থানার এস আই সহব্বত, দর্শনা রেল বাজার কমিটির সভাপতি টিপু সুলতান, অংকুর আদর্শ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো: হাফিজুর রহমান, সাবেক শ্রমিক নেতা মো: আজিজুল হক।
এ সময় বক্তারা বলেন, যুবলীগ কর্মী পল্টু হত্যা মামলার আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত রাজ পথে থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ারী দেন। এবং বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান।
উল্লেখ, গত ২৩ আগষ্ট তারিখে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রকাশ্যে ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রউফ এর ছেলে যুবলীগ কর্মী নঈমদ্দিন আহম্মেদ পল্টু (৩৮) কে কুপিয়ে ও লোহর রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে এবং একই গ্রামের মন্জুর আহম্মেদ মারাত্মক আহত করে। এ ঘটনায় পল্টুর ভাই মঈনইদ্দিন বাদী হয়ে গত ২৪ আগষ্ট তারিখে দামুড়হুদা থানায় ৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন, দর্শনা মোবারক পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে আব্দুল মান্নান (৪২), কবির খালাসীর ছেলে শেখ আসলাম তোতা (৪৩), দর্শনা পুরাতন বাজারের জিয়াউল হকের ছেলে দিপু রেজা (৪১), মোবারক পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে বাংলা (৪১), বাদল খানের ছেলে মোঃ আলম (৪৩), ডাঃ শামসুল ইসলামের ছেলে মোঃ সোহেল (৪০) ও ইমারত আলীর ছেলে আশিক (২০)।
এ সাতজনকে আসামী করে এবং অজ্ঞাত আরো ১০/১২জনকে আসামী করে দামুড়হুদা থানায় মামলা করা হয়। গত সোমবার তারা চুয়াডাঙ্গা নিম্ন আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এবং তদন্ত কারী পুলিশ অফিসার সত্য উদঘাটনের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। বর্তমানে তারা চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে আছে।
মেপ্র/দর্শনা প্রতিনিধি