দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর চাঞ্চল্যকর শহিদুল হত্যা মামলার আদালাতে চার্জশীট দাখিল। চার্জশীট থেকে এজাহারভুক্ত ২ আসামীর নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে বাদী পক্ষ চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজহারভুক্ত ২ আসামীর নাম বাদ দেখা দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে আসামীরা জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় মিষ্টি বিতরন ও বাদি পক্ষকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে উঠেছে অভিযোগ। তাছাড়া পুলিশের ভৃমিকা নিয়ে দেখা দিয়েছে আলোচনা ও সমাচোলনা।
গত বছরের ৩১ জুলাই দুপুর দেড় টার দিকে দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুরে গ্রামের বড় বসজিদের সামনে চৌরাস্তার মোড়ে ছেলের বন্ধুর ধারালো ছুরিকাঘাতে খুন হয় শহিদুল ইসলাম।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে সুজনকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার অন্য আসামীরা একই গ্রামের মৃত আঃ গফুর মিয়ার ছেলে আমজাদ হোসেন (৪৯), আমজাদ হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা ওরফে শামীম হোসেন (২৯), আমজাদ আলীর স্ত্রী বলেহার খাতুন (৪২), মশিউর রহমান ছোটনের স্ত্রী কাজলী খাতুন ওরফে কাজল (৩০) ও মৃত খোদা বক্সর ছেলে সোলায়মান হোসেন ওরফে সলেমান (৩৭)। এ মামলায় প্রধান আসামী সুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারলেও বাকি আসামীদের গ্রেফতার করতে ব্যার্থ হয়। পরে এ মামলার একজন আসামীবাদে অন্যরা বিজ্ঞ আদালতে আত্নসর্মপন করে। গ্রেফতারের ৫ মাসের মাথায় প্রধান আসামী সুজনসহ অন্যরা জামিনে মুক্ত হযে ফিরেছে বাড়ি।
এ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর আবু সাঈদ ১১/১২/ ২০২১ সালে চার্জশীট দাখিল করেছেন বিজ্ঞ আদালতে। চারশীটে বলা হয়েছে বাদীর আনীত অভিযোগ কোর্ড আইনে ৩২৩/৩২৪/৩০৭/৩০২/৩৪/৫০৬ ধারার অপরাধ সাক্ষ প্রামানে প্রথমিক ভাবে প্রমানিত হওয়ায় আসামীদের প্রকাশ্যে আদালতে বিচারের নিমিত্তে অভিযোগপত্র দাখিল এবং এজাহান নামীয় ১। মোছাঃ কাজলী খাতুন ওরফে কাজল (৩২) স্বামী মশিউর রহমান ছোটন পিতা আলতাফ হোসেন ও ২। মোঃ সোলায়মান হোসেন ওরফে সোলেমান (৩৭) পিতা মৃত্য খোদা বক্্রসো। মাতা মোছাঃ সুফিয়া খাতুন উভয় সাং ঈশ্বরচন্দ্রপুর (ঈশ্বরচন্দ্রপুর বড় মসর্জিদপাড়া) থানা দর্শনা জেলা চুয়াডাঙ্গা দয়ের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমানে বাদির আনিত অভিযোগ প্রথমিক ভাবে প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে অত্র মামলার দায় হতে অব্যাহতি দানের প্রর্থনা জানিয়ে তার স্বপক্ষে মতামত ব্যাক্ত করে উদ্ধতন কৃতৃপক্ষের আদাশের জন্য স্বাক্ষির স্বারকলিপি দাখিল করি।
এই মামলার বাদী নিহত শহিদুল ইসলামের মেয়ে মোছাঃ আমেনা খাতুন বলেন চার্জশীট আমাদের মনোপতো হয়নি। চার্জশীটীয়ে পক্ষ পাতিত্ব করা হয়েছে। প্রতিবেদনের বিপক্ষে না রাজি দিয়ে আবেদন করবে বলে সাংবাদিকদের জানাই বাদি পক্ষ। তাছাড়া আসামীরা জামিনে মুক্ত হয়ে না ভাবে হুমকি ধামকি দেওয়ায় আমরা চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।আমি এ ঘটনায় পুলিশের সহযোগিতা কামনা করছি। এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এ এইচ এম লুৎফুল কবিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন বিষটি সাক্ষিদের সাক্ষি মোতাবেক তদন্ত পৃর্বক বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে। বাদীর চার্জশীটের বিরুদ্ধে কোন আপত্তি থাকলে বিজ্ঞ আদালতে না রাজির আবেদন জানাতে পারবে। তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর আবু সাঈদ জানান তদন্ত পৃর্বক আমি যা পেয়েছি সেটাই বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেছি।