চুয়াডাঙ্গার অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানি-তে একের পর এক বোমা উদ্ধারের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশে প্রশাসনের যৌথ চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
রবিবার দুপুর ১২:৩০ মিনিটে, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার সার্কেল এএসপি জাকিয়া সুলতানার নেতৃত্বে কেরু এলাকার ১৩৮ একরজুড়ে তল্লাশি শুরু করা হয়।
অভিযানে অংশ নেন চুয়াডাঙ্গা ডিআইওয়ান মোঃ শফিকুর রহমান খান, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি মশিউর রহমান, ৫৫ পদাতিক ডিএডি হুমায়ুন আহমেদ (সেনাবাহিনী), কেরুজ আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
অভিযান চলাকালে বেলা ২টার দিকে দর্শনা কেরুজ ক্যাথলিক গির্জার পাশে একটি ব্যাগের মধ্যে লাল কসটেপ মোড়ানো ৪টি শক্তিশালী বোমা পাওয়া যায়।
কেরুজ সিকিউরিটি অফিসার মোজাহিদুল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, কেরুজ সিকিউরিটি গার্ড ও ডিবি পুলিশ সকাল থেকেই যৌথভাবে তল্লাশি চালাচ্ছিল। এ সময় জয়নাল আবেদীন নফর সংগঠনের অফিসের পেছনে একটি পলিথিনের ব্যাগে বোমাগুলো দেখতে পান।
সঙ্গে সঙ্গে পুরো এলাকা ফিতা দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় এবং সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও ডিবি বাহিনী বোমার চারপাশ পাহারা দিতে থাকে।
দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর জানিয়েছেন, রাজশাহী বোমা ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। টিম আসার আগ পর্যন্ত সেনাবাহিনী, পুলিশ ও কেরুজ সিকিউরিটি বাহিনী পুরো এলাকা পাহারায় থাকবে।
এর আগে, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ কেরুজ ক্লাবের পাশে একটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে রাত ৮:৩২ মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ কেরুজ ক্লাবের সামনে পুকুরে কালো টেপ মোড়ানো বোমা পাওয়া যায়। র্যাব-৫ এর বোমা ডিসপোজাল টিম এসে রাত ৮:২৪ মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটায়।
৯ অক্টোবর ২০২৪ দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের এনজিও অফিস ডাকাতির সময় একটি বোমা ফেলে যায় ডাকাত দল। সেটিও কেরুজ ক্লাব মাঠে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
চার মাসে কয়েক দফা সিরিজ বোমা উদ্ধার ও বিস্ফোরণের ঘটনায় কেরু এলাকার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর জানান, বোমাগুলো কারা রেখে যাচ্ছে, কেন রাখা হচ্ছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে। রাজশাহী বোমা ডিসপোজাল টিম এসে নতুন উদ্ধার হওয়া বোমাগুলোর বিস্ফোরণ ঘটাবে।