কোন কর্মকর্তা একই জায়গায় দীর্ঘদিন চাকুরী করলে সেখানে দূর্নীতি অবধারিত। তাই দূর্ণীতি রোধে সরকারি চাকুরীতে বদলি ব্যবস্থা রাখা আছে। তবে দর্শনা কেরুজ চিনিকলের ডিস্টিলারী বিভাগের প্রধান জিএম ফিদা হাসান বাদশা দীর্ঘ ১৮ বছর ঘুরেফিরে অবস্থান করছেন একই প্রতিষ্ঠানে।
তার নিয়োগ চিনিকলের বিএমআর প্রকল্পের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর (পিডি) হিসাবে হলেও অতিরিক্ত হিসাবে আকড়ে রেখেছেন ডিস্টিলারী বিভাগের প্রধান চেয়ার। ফলে একই ব্যাক্তি গুরুত্বপূর্ণ ২টি চেয়ার ধরে রাখায় হয়েছে বাদশা থেকে রাজা। অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে প্রকল্পের পিডি হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও কি কারণে ধরে রেখেছেন ডিস্টিলারীর চেয়ার। কি মধু এ চেয়ারে ?
দর্শনা কেরুজ চিনকলে ২০০৫ সালে যোগদান করেন ফিদা হাসান বাদশা। যোগদানের পর পদউন্নতি পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। ২৬/০৫/২০১৯ তারিখ থেকে ডিস্টিলারী বিভাগে জিএম হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এরিমধ্যে পদউন্নতি পেয়ে সদর দপ্তর থেকে চিনিকলের বিএমইকরণ প্রকল্পের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর (পিডি) দায়িত্ব পান তিনি। তার মূলদায়িত্ব এ প্রকল্পে হলেও অনৈতিক সুবিধা থাকায় ডিস্টিলারীর চেয়ার কৌশলে আকড়ে আছেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, ডিস্টিলারী বিভাগে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার মালামাল ক্রয় হয়ে থাকে। এসব মালামাল ক্রয় কমিটিতে তার যাচাই বাচাই এবং দেখভাল করার গুরুদায়িত্ব থাকে। জনশ্রতি আছে ডিস্টিলারী বিভাগের প্রত্যেকটি মালামাল ক্রয় কমিটিতে তার অবস্থান থাকে। যার ফলে সরবরাহ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে বিশেষ সখ্যতা। যার ফলে প্রতিষ্ঠানে নিন্মমানের মালামাল সরবরাহ হয়ে থাকে এতে প্রতিষ্ঠানের লোকশান হলেও আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন তিনি। ডিষ্টিলারীর ক্রয় দুর্নিতি রোধে তার অপসারণ জরুরী বলে সাধারণ শ্রমিক কর্মচারীরা মনে করছেন।
তারা মন্তব্য করে বলেন, দীর্ঘদিন একই চেয়ারে থাকলে অনেকের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠার সুবাদে দৃর্নীতি বাঁশা বাঁধে।
এব্যাপারে ফিদা হাসান বাদশা তার বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যা খুশি লেখেন কোন ব্যাপার না।