ঐতিহ্যবাহী দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের ২০২২-২৩ আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্ধোধন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে । শুক্রবার বেলা ৩ টার দিকে কেরুজ কেইন কেরিয়ার প্রাঙ্গণে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে কুরআন থেকে তেলোয়াত করেন কেরুজ জামে মসজিদের পেশ ইমাম শামসুজ্জোহা।
প্রধান অতিথী থেকে মাড়াই মৌসুমের উদ্ধোধন করেন বাংলাদেশ খাদ্য ও চিনিশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু। বলেন আমরা চিনির মৃল্য ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়েছি আমরা আশা করছি তার থেকেও আখের মৃল্য বেশি করবো।এবং চাষীরা যাতে আখ চাষ করে আমরা সেদিকে খেয়াল করছি।আগামীতে মিল আরও বেশি দিন চলবে।
কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহাফুজুর রহমান মনজু, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা বেগম, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) মুন্না বিশ্বাস, জিএম সম্প্রসারণ সদর দপ্তরের আহসান হাবিব, কেরুজ চিনিকলের জিএম কৃষি আশরাফুল আলম ভূইয়া’র উপস্থাপনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, কেরুজ চিনিকলের সদ্য যোগদানকৃত জিএম প্রশাসন ইউসুফ আলী,কেরুজ চিনিকলের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত জিএম প্রশাসন শেখ শাহাব উদ্দিন, ইক্ষু গবেষণার উদ্ধোতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন, কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহাম্মেদ সবুজ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম পিন্স,ব্যবস্থাপক খামার সুমন কুমার সাহা, সহ- সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহ সহ-সাধারণ সম্পাদক খবির উদ্দিন, উপব্যবস্থাপক(প্রশাসন) মাসুদ রেজা, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এএইচ এম লুৎফুল কবীর, কেরুজ আখচাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী প্রমুখ।এশিয়া মহাদেশ তথা বাংলাদেশের রাষ্টায়ত্ত চিনিকল গুলোর মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম চিনিকল দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানি। এ ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠানটির ২০২২-২৩ আখ মাড়াই মৌসুমে কেইন কেরিয়ারে আখ নিক্ষেপ করে উদ্বোধন করা হয়।
এ বছর ৫৩ মাড়াই কার্য দিবসে ৬১ হাজার ৫’শ মেট্রিক টন ইক্ষু মাড়াই করে ৩ হাজার ৮৪০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মিলের মিল উদ্বোধন করা হয় । চিনিকল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, এবার ৪ হাজার ২৩০ একর জমিতে আখ দণ্ডায়মান রয়েছে। যার মধ্যে কেরুজ নিজস্ব জমির পরিমাণ ১ হাজার ৫০ একর। বাকী ৩ হাজার ১৮০ একর কৃষকদের জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে। আখের সঠিক পরিচর্যা, আধুনিক পদ্ধতিতে আখচাষ ও মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ কর্মকর্তাদের সার্বিক দেখভালের কারণে এবার আখের ফলন ভালো হয়েছে। যে কারণে ধারণা করা হচ্ছে আখ মাড়াইসহ চিনি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জন সক্ষম হবে। সেই সাথে চিনি আহরণের গড় ৬.২ লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ আখ রোপণ মৌসুমে আনুষ্ঠানিকভাবে আখ রোপণ শুরু করা হয় গত ১ সেপ্টেম্বর। এ বছর ৭ হাজার জমিতে আখ রোপনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠান শেষে শামীম হোসেন ও ইসমাইল হোসেনকে আখ বেশি রোপন করায় শেষ্ঠত্ব ক্রেষ্ট তুুলে দেন বাংলাদেশ খাদ্য ও চিনিশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু।অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন জি এম কৃষি আশরাফুল আলম ভৃইয়া।