চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় অবস্থিত কেরু এন্ড কোম্পানি একটি ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান। এই কেরু’জ চিনিকলে আখ থেকে চিনি, গুড়, চিটাগুড়, মদ ইত্যাদি উৎপাদন করা হয়। আখই কেরু’জ চিনিকলের মূল কাঁচামাল, আখ ছাড়া এই চিনিকল পরিচালনা করা অসম্ভব।
কিন্তু দর্শনা কেরু’জ চিনিকলেএই মূল কাঁচামাল আখ সংগ্রহে অনিয়ম দেখা গেছে। সেন্টার বাদে অনুমোদন ছাড়াই মদনা মাঠে ট্রাক্টরে আখ লোড দিতে দেখা গেছে। আর এই অনিয়ম কারণেই আখ চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যার কারণে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে সাধারণ চাষি।
এই বিষয়ে কেরু এন্ড কোম্পানির জিএম গিয়াস উদ্দীনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি এখন ঢাকায় আছি, আমি এখন এ বিষয়ে কোন কথা বলবো না।
এ বিষয়ে কেরু’জ সিআই মনির উদ্দীনের কাছে আখ মাঠ থেকে কেটে নেওয়ার পর সেন্টার এর অনুমোদন ছাড়া মাঠে ট্রাক্টরে লোড করার কোন অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেন্টার এর কাটাই ওজন হবে তারপর ট্রাক্টর লোড হবে এর বীপরিতে কিছু করলে তার কোন অনুমোদন নেই।
এ বিষয়ে কেরু এন্ড কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) শেখ সাহাবদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জানামতে মদনা মাঠে কেরু এন্ড কোম্পানির ট্রাক্টরে আখ লোডের অনুমোদন নেই।
জানা গেছে, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের হাফিজুল এর ছেলে আখ চাষী আব্দুল আজিজ। এই বিষয়ে তার কাছে জানতে গেলে তিনি সাংবাদিক দেখে দৌড়ে পালিয়ে য়ান। অনুমোদন ছাড়া ট্রাক্টরে আখ লোড দেওয়া গাড়ীর চালান নং ৪৮৩১ এবং গাড়ীর লাইসেন্স নং ২০ এবং ড্রাইভার এর নাম সৈকত আলী।
এ ঘটনায় তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য তবে সেন্টার বাদে কিভাবে ট্রাক্টর লোড করে সরকারি অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি কুচক্র মহল। এ বিষয়ে কেরু এন্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আবু সাইদ ব্যবস্থা নিবেন আশা করছে সাধারণ কৃষককূল ।