গতকাল বুধবার দুপুরে দর্শনা কেরু চিনিকলের( দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে) ৪২জন চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা স্ব স্ব কাজে বহাল থাকতে দর্শনা প্রেস ক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
আগামী শনিবার বিক্ষোভ ও মানব বন্ধনের কর্মসূচি ঘোষণাসহ থলের বিড়াল বের করে দেওয়ার হুমকি ও হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন । চাকরিচ্যুত শ্রমিক রেজাউল করিম রেজা(৫৫), এহসানুল হক রাজিব (৪৮) হারুন অর রশিদ পান্না (৪৯)সহ ৪২ জন লিখিত বক্তব্যে জানান ১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২শ ৬০টাকা হাজিরায় ইক্ষু সংগ্রহ বিভাগে কর্মরত ছিলাম।
এ মৌসুমেও ৩৯দিন কাজে বহাল থাকা অবস্থায় অদৃশ্য এক অপ শক্তি ও অবৈধ কালো টাকার প্রভাবে আমাদেরকে বিতাড়িত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে চাকরিচ্যুত শ্রমিক এহসানুল হক রাজিবসহ সকলেই এক বাক্যে বলেন, আচার্য হলেও সত্য ২০থেকে ৩০বছরে আমরা সেটাপে যেতে পারলাম না , কিন্তু কেউ কেউ লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে রাতারাতি সেটাপে অর্থাত আমাদের জায়গাটা পূরণ করে দেয়া হলো ।
চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা প্রেস ক্লাবে চিল্লিয়ে একসাথে বলে উঠলেন এর জন্য কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়ন দায়ী। এলাকার জনগণ খুব শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে ফুসে উঠবে, বিচার করবে। কান্না বিজড়িত কন্ঠে শ্রমিকরা লিখিত অভিযোগে সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছেন এ বয়সে আমরা এখন কি করবো স্ত্রী সন্তান নিয়ে কোথায় যাবো, আমাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় নাই।
পরিশেষে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ ভাবে চাকরি ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন । এ বিষয়ে কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো তৈয়ব আলি ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান জানান আমরা সব সময়ই শ্রমিক ও কর্মচারীদের পক্ষে ছিলাম ও আছি, এদেরকে কাজে পুনর্বহাল করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো আবু সাইদ জানান ঐ শ্রমিকরা দীর্ঘদিন যাবত দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে কাজ করে আসছে, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন কেনো হলোনা সেটা আমার বোধগম্য না, তাদের কোন সেটাপও নাই, তারা খুবই দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে, তবে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সমাধান করা যায় কিনা তা দেখা হবে।