চুয়াডাঙ্গা জেলার ঐতিহ্যবাহী কেরু চিনিকল এ চিনিকলে ৪টি কমপ্লেক্স নিয়ে গঠিত চিনিকলটি।এ চিনিকলের মৃল হচ্ছে দর্শনা ডিষ্ট্রিলারী। ইতিমধ্যে ডিষ্ট্রিলারী থেকে চুরি ঠেকাতে নানা মুখি পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন নবাগত এমডি রাব্বিক হাসান।
দর্শনা কেরু শ্রমিক ইউনিয়নের নবাগত সাধারন সম্পাদক হাফিজুর ইসলাম হাফিজ বলেন,বর্তমানে কেরু ডিষ্টিলারীতে চুরি ঠেকাতে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করেছে। যে সব শ্রমিক কাজ করে ফরেনলিকার ও বাংলা মদের ফ্যাক্টরিতে তাদের প্রত্যকের চেকিং করে বেরোনো ও ঢুকনো হচ্ছে। এবং গেটে ৪ জন দারুয়ান রাখা হয়েছে। এসব নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করার ফলে বর্তমানে চুরি শুন্যের কোঠায় চলে এসেছে।এসব পদক্ষেপ গ্রহন করায় এমডি রাব্বিক হাসানকে সাধুবাদ জানিয়েছে শ্রমিক ইউনিয়ন ও সুধি মহল। দর্শনা কেরু ডিষ্ট্রিলারী থেকে ফরেনলিকার ও বাংলা মদ চুরি করার যতই চাতুরী ও কৌশল অবলম্বন করেন না কেন নিশ্চিত ধরা খাবেন চোরেরা ।
আজ দর্শনা কেরুজ ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান জানান, চোরেরা কেরু ডিষ্ট্রিলারী থেকে ফরেনলিকার বা বংলা মদ চুরি করার যতই চেষ্টা করুক না কেন ধরা খাবে নিশ্চিত। দীর্ঘদিন ধরে দর্শনা কেরু ডিষ্ট্রিলারী থেকে ফরেনলিকার ও বাংলা মদ চুরি হয়ে আসছে নানা কৌশলে। ফলে ফরেনলিকার ও বাংলা মদ চুরি বন্ধ করতে বেশ কিছু গোপন পদক্ষেপ নিয়েছেন কেরুজ নবাগত এমডি রাব্বিক হাসান।
তিনি আরো জানান দীর্ঘদিন কেরুজ মদ চুরি ঘটনা ঘটে চলেছে। ফলে এবার আমরা শুধু সিসিটিভি ক্যামেরা নয় বেশ কিছু গোপন পদক্ষেপ নিয়েছি। মদ চুরি করতে যত ধরনের কৌশল এবং ছলচাতুরতা অবলম্বন করুক না কেন আমারা ঠিক তাকে ধরে ফেলতে পারবো। এছাড়া তিনি চোরেদের উদ্যেশে সর্তক করে বলেন আগে যা করেছেন এখন থেকে ভাল হয়ে যান। সরকারী সম্পদ চুরি করে কেউ রেহায় পাবে না। ধরা পড়লে সাথে সাথে কঠোর হাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি ডিষ্ট্রিলারীর ইলেক্ট্রিক হেলপার আব্বাস আলীর বাক্সে ৬ বোতল ফরেনলিকার ও খালী ২টি মদের বোতল উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় কেরজ কর্তৃপক্ষ ৩ সদস্যর তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করে আব্বাস আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। আগামীতে কেউ যদি মদ চুরি করে ধরা পড়ে তাহলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান।