দর্শনা পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের মাঠে ১০ বিঘা ১৫ কাঠা জমির প্রায় ১৯ লাখ টাকার ফলের গাছ ও ফসল কর্তন করেছে দুবৃর্ত্তরা।
এছাড়া ২০/২৫ জন এ হামলা করে ৩টি শ্যালোমেশিন ভাংচুর ও বাড়ি ঘরে হামলা করে এবং ১০ বিঘা ১৫ কাঠা জমির ফসল কর্তনের অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী মাতয়ার রহমান। এসব ফসলের রয়েছে ৩বিঘা ফলন্ত পেঁপে গাছ, ৩বিঘা ফলন্ত পেঁয়ারা গাছ, ৩ বিঘা ভুট্টা ক্ষেত ও ১৫ কাঠা কলাই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা।
এসব ক্ষতি করার পরও দুবৃর্ত্তরা মতিয়ার রহমানের ৩টি শ্যালোমেশিন ভাংচুর ও বাড়িতে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ। মতিয়ার রহমান জানান, প্রতিপক্ষের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে মামলা চলছিলো। সে মামলায় বাড়াদী গ্রামের ওলি হোসেনের ছেলে মতিয়ার রহমান। তাদের পক্ষে রায় পেয়ে এসব ফসল বুনেছিলো। হঠাৎ গত রবিবার ভোরে ১০ বিঘা ১৫ কাঠা জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ করে।
এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে গত ২৭/১১/২০২৩ ইং একটি মামলা করে। যার মালা নং জিআর-১৭/২০২৩। গতকাল সোমবার ঘটনায় দর্শনা থানা পুলিশ ঝাঁঝাঁডাঙ্গা গ্রামের মৃত আজিমুদ্দিনের ছেলে আমানুল্লাহ (৩৫) ও তার ছোট ভাই আব্দুল্লাহ (৩০) এবং ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত বাহার আলীর ছেলে জান মোহাম্মদ ওরফে জানু (৬০) ও জান মোহাম্মদ এর ছেলে রকিবুল হক (৩১) কে গ্রেফতার করে। ঐ দিনেই কোট থেকে ৪ জনই জামিন নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে।
মতিয়ার রহমানের অভিযোগ জামিন পেয়ে পুণরায় গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার বাড়িতে হামলা করে। এতে দোলোয়ার হোসেন আহত হয়। দেলোয়ার হোসেনের মাথায় ৩টা ও নাকের উপর ১টি সেলাই হয়েছে। তবে জান মোহাম্মদ জানু ও তাদের লোকজন জানান, জমির মামলা এখনো নিস্পত্তি হয়নি। সে জোর করে ফসল, পেঁঁপে, কলাই ও পেঁয়ারা গাছ লাগিয়েছে। আমরা কোন ফসল কাটেনি।
জানাগেছে দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের ওলি আহম্মেদের ছেলে মতিয়ার ছয়ঘরিয়া মাঠে তিন বিঘা ফলন্ত পেয়ারা তিন বিঘা পেপে তিন বিঘা ভুট্রা মাশ কলাই ও ঝাল গত পরশু ভোরে একই ইউনিয়নের নাস্তিপুর গ্রামের পটলা গংসহ ২০/২৫ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাগানগুলো কেটে সাবাড় করে।বাগানের মালিক মতিয়ার খবর পেয়ে প্রানের ভয়ে যেতে না পেরে দর্শনা থানা পুলিশকে খবর দেয়।দর্শনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পালিয়ে যায় পটলা গং।
পরে মতিয়ার বাদি হয়ে থানায় এসে পটলাকে প্রধান আসামী করে ২০ জনের নামে থানায় মামলা করে।এ ঘটনায় মতিয়ার রহমান বাগান ও ফসল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।