দর্শনা পরানপুর মোড় থেকে লোকনাথপুর পর্যন্ত সড়ক নিমার্ন কাজ চলছে। আর এই সুযোগে সড়কের পাশে বিভিন্ন প্রজাতির ৭৯টি গাছ কেটে সাবাড় করেছে অসাধু ব্যক্তি।
এ খবর পেয়ে আজ বিকাল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, দামুড়হুদা উপজেলা নিবার্হী অফিসার রোকসানা মিতা জেলা পরিষদের নিবার্হী প্রধান মিজানুর রহমান ও সহকারী নিবার্হী ইসরাইল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা পরানপুর দক্ষিন পাড়া মোড়ে আসে।
এসময় উপজেলা নিবার্হী অফিসার রোকসানা মিতা বলেন, জেলা পরিষদ আমাদের আইনি ব্যবস্থা নিতে বল্লে আমি আইনি ব্যবস্থা নেব।
এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, যে গাছগুলো কেটে ফেলেছে সে গুলো আগে উদ্ধার করা হোক তারপর কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর পুলিশ ডেকে গাছগুলো উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। স্থানী লোকজন জানান, জেলা পরিষদের একজন সরকারী লোক এসে বলেছে যার যার জমির সামনে যে গাছগুলো কেটে নেওয়ার কথা। এরপর হাজী গোলজার মিয়ার জমির রাস্তার পাশের গাছগুলো কেটে নেয়।
এ খবর পেয়ে সড়কের পাশের জমির মালিক পরানপুর গ্রামের মৃত গোলজার হাজীর ছেলে আনারুল আজিম ১০টা, বাবর আলী ছেলে খোকন ৪টি, লোকনাথপুর মৃত ওয়াদুদ শাহের ছেলে গ্রামের মুকুল শাহ ৩টি, ইদ্রিস আলী ৪টি, মদু মিয়ার ছেলে জামাল উদ্দিন ৪টি, মাও হাবিবুর মওলানার ছেলে ৩টি, লাউ ক্ষেতের পাশে ৩টি ও গম ক্ষেতের পাশ থেকে ১টি মেহুগুনি গাছ কেটে নেয় জমির মালিকরা। এছাড়া পরানপুর গ্রামের সানোয়ার মন্ডলের ছেলে বাবু ৩টি,আকবার আলীর ছেলে মাসুদ ৬টি, ফেলু মন্ডলের ছেলে ইসরাফিল হোসেন ৪টি ও আব্দুর রব ২টি, নবাব আলীর ছেলে মহসিন ১৩টি, গাছগুলো কেটে নেয়।
এ সুযোগে কিছু সুযোগসন্ধানী লোক সড়কের পাশের ৭৯টি গাছ কেটে ফেলেছে। কেউ কেউ গাছ কেটে বিক্রীও করেছে। কেউ বাড়ি বাড়ি জমা করে রেখেছে। এ বিষয় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মঞ্জু জেলা পরিষদের কর্মকতার্দের নির্দেশ দেন পুলিশ সাথে নিয়ে কাটা গাছগুলো যেখানে আছে উদ্ধার করে দর্শনা ডাকবাংলো চত্বরে রাখার। কেউ যদি কোন সো মিলে রাখে সেখান থেকে উদ্ধার করার নির্দেশ প্রদান করেন।