চুয়াডাঙ্গার দর্শনার বাড়াদি সীমান্তে নিহত বাংলাদেশী দু’যুবকের লাশ ১৫ দিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
আজ শনিবার বিকেল ৫টার দিকে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি- বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পতাকা বৈঠক শেষে নিহত বাংলাদেশী দু’যুবকের লাশ গ্রহণের পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
দর্শনা পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার আ: রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের বেকারাস্তা পাড়ার সাজেদুর রহমান ওরফে সাইদুল ও একই পাড়ার খাঁজা মঈনুদ্দিনসহ ৫/৬ জন সঙ্গবদ্ধ গরু চোরাকারবারি গত ১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যার পর দর্শনার কামারপাড়া-বারাদি সীমান্তের পূর্বপাড়া-মাঝেরপাড়া কাঠেরপোল মাঠ নামক স্থান দিয়ে ৮২/২ এস মেইন পিলারের কাছ দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে ভারত অভ্যন্তরে আনুমানিক ৩০০ গজ কলাবাগান নামক স্থান গোবিন্দপুরে অবস্থান করে। ওই দিন দিবাগত গভীর রাতে চোরাকারবারিরা ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন ৩২ গোবিন্দপুর বিএসএফ ক্যাম্পের একটি টহল দলের মুখোমুখি হয়। এসময় বিএসএফ দল চোরাকারবারীদের লখ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুরলে গুলিবৃদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
সাজেদুর রহমান ওরফে সাজ্জুল (৩৫) ও খাঁজা মইনুদ্দিন (৪৫) নামের দুই গরু চোরাকারবারি। ঘটনার পরদির রোববার সকালে ভারতের গোবিন্দপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা লাশ দুটি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পর লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবি-বিএসএফকে পত্র দিলেও বিএসএফ তাতে সারা না দেয়ায় লাশ ফেরত পাওয়া যায়নি। এদিকে গত বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে দর্শনা বাড়াদি সীমান্তে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও আইনী জটিলতার কারণে নিহতের লাশ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান বিজিবি। ফলে লাশ নিয়ে ফিরে যায় বিএসএফ।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান ৮২ পিলারের কাছে কৃষ্ণনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপেন সরকার লাশ হস্তান্তর করলে আমি দর্শনা থানা ওসি হিসেবে লাশ দুটি গ্রহণ করি।
সন্ধ্যারপর লাশ তাদের পরিবারের কাছে বুঝে দেয়া হয়। এ সময় বিজিবি চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (এডি) মো: হায়দার ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার রাজেস নারায়ণ উপস্থিত ছিলেন।পরে দর্শনা থানা পুলিশ সন্ধার দিকে মৃতদ্বয়ের আত্মীয় স্বজনের কাছে লাশ হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পূর্ন করে। এসময় নিহত সাজেদুরের লাশ সনাক্ত ও সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাচাতো ভাই জুয়েল রানা আব্দুল।নিহত দুজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে পরিবারের লোকজন ও স্বজনদের কান্নায় গ্রামেন আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।গতকালই তাদের লাশ রাত ৮ টার দিকে গ্রামেন একই কোবরস্থানে লাশ দুটি সম্পর্ন হয়েছে।