আগুনের মুক্তিতে আনন্দের শিখা শ্লোগানে দর্শনায় ৪ ডিসেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদায় শত্রু মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।
আজ বুধবার বিকালে জেলার ঐতিহ্যবাহি সাংস্কৃতিক সংগঠন” দর্শনা সাংস্কৃতিক সংসদ”এর আয়োজনে বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা, লাঠিখেলা, কবিতাবৃত্তি দেশগান ও শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যে দিয়ে ৪ ডিসেম্বর দর্শনা শত্রুমুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে।
ঐদিন বিকাল ৪ টায় শোভাযাত্রাটি দর্শনা সরকারি কলেজ মাঠ থেকে শুরু করে কেরু চিনিকলের আনন্দবাজারের বীর শহীদ স্মৃতিসৌধে এসে শেষ হয়। পরে সাংস্কৃতিক সংসদের নেতৃবৃন্দরা শহীদদের আত্নার প্রতি এক মিনিট দাড়িয়ে নিরাবতা পালন করারপর শ্রোদ্ধা জানিয়ে বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন।
এ সময় সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, দর্শনা পৌর বিএন পির সমন্বয়ক মোঃ হাবিবুর রহমান বুলেট, যুগ্ম সমন্বয়ক মোঃ নাহারুল ইসলাম, সিডি এল পরিচালক আবু সুফিয়ান, হিন্দোল সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম, দর্শনা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক অনিক, দর্শনা সাংস্কৃতিক সংসদের শত্রুমুক্ত দিবস পালনে উপ কমিটির আহবায়ক মোস্তাক আহম্মেদ মনা, সাংস্কৃতিক সংসদের সমন্বয়ক মনিরুজ্জামান ধীরু, টিটো খান, সাজ্জাদ হোসেন, শেখ সাজু, রাশেদ আহম্মেদ, বলরাম কুমার, আনোয়ার জোয়ার্দার সহ ১৫ টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি, সম্পাদক ও সাংস্কৃতিক কর্মি কবি, সাহিত্যিক সাংবাদিকগন উপস্হিত ছিলেন। পরে রাত সাড়ে ৭ টার দিকে কেরুজ ক্লাবমাঠে আনন্দযাত্রা ও বিজয়ালেখ্য শ্রোগানে এক মন মাতানো সাংস্কৃতিক অনুস্ঠানের মধ্যে দিয়ে দর্শনা শত্রুমুক্ত দিবসের কর্মসুচি শেষ হয়।
উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর এ অন্চলের অকুতোভয় বীর মুক্তি যোদ্ধাদের রক্ত ও শহীদ হওয়ার বিনিময়ে দর্শনা শত্রুমুক্ত করে দেশ স্বাধীন করেন।সে থেকে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে দর্শনা বাসি পালন করে আসছে।