চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা ছোট বলদিয়া সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত মুনতাজ আলীর লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
গতকাল শুক্রবার কামারপাড়া সীমান্তে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে নিহতর লাশ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
জানাগেছে, গত ৯ অক্টোবর শনিবার সন্ধার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনার সীমান্তবর্তী পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছোট বলদিয়া গ্রামের মুনতাজ হোসেন কয়েকজনকে সাথে নিয়ে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ্যপন্থায় ভারতে প্রবেশ করে।
ওই দিন রাত ১১টার দিকে তারা ভারত থেকে মহিষ চুরি করে ফেরার পথে সীমান্তের নিকট পৌছালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষি বাহিনী বিএসএফ চোরাকারবারীদের লক্ষ করে গুলি ছোড়ে।
এসময় চোরাকারবারীরা সকলে পালিয়ে রক্ষাপেলেও বিএসএফ গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মুনতাজ আলী (৩৫) সহ একটি মহিষের মৃত্যু হয়।
পরে বিএসএফ সদস্যরা গুলিবৃদ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণকারী মুনতাজ আলীর মরদেহ নিয়ে চলে যান। নিহত মুনতাজ আলী চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছোট বলদিয়া গ্রামের স্কুলপাড়ার মৃত নজরুল ইসলাম নজুর ছেলে।
ঘটনার ৬ দিনের মাথায় গতকাল শুক্রবার সন্ধার দিকে উপজেলার দর্শনা সীমান্তের কামারপাড়া গ্রাম ও ভারতের কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন বিজয় চন্দ্রপুর গ্রাম সংলগ্ন ভারতীয় মেইন পিলার নং-৮১ এর নিকট দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে নিহত মুনতাজের মরদেহ হস্তান্তর করে বি,এস,এফ।
পরে দর্শনা থানা পুলিশ নিহতর লাশ গ্রহণ শেষে ঘটনাস্থলেই তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন, দর্শনা থানার ইন্সপেক্টর নিখীল চন্দ্র রায়, এস,আই স্বপন কুমার সাহা এবং ভারতের পক্ষে (কৃষ্ণগঞ্জ সার্কেল) ডিএসপি সুভাষ চন্দ্র রায়।