চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে প্রায় সাড়ে ৪০ লাখ টাকার ভারতীয় রুপার গহনাসহ স্বামী -স্ত্রীসহ ৩ চোরাকারবারীকে আটক করেছে ৬ বিজিবি।এ ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করেছে মামলা।
জানাগেছে আজ শনিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, পিএসসি নেতৃত্বে অভিযান চালায় নাস্তিপুর গ্রামের হায়দারের বসতবাড়িতে।
এ সময় ৬ বিজিবির বাড়াদী বিওপি কমান্ডার নায়েক সুবেদার জাকির হোসেন ও সুলতানপুর ক্যাম্পের বিওপি কমান্ডার দুলাল হক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ সীমান্ত পিলার ৮০/৬-আর হতে আনুমানিক ২শ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাস্তিপুর ওয়াসিম বিশ্বাসের ঘর তল্লাশী করে। পরে বিজিবি সশস্ত্র টহল দল বর্ণিত ব্যক্তির বাসার ভিতর রক্ষিত ড্রেসিং টেবিলের নীচে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা অবস্থায় একটি গামছা দিয়ে বাধা পোটলা উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত পোটলার ভিতর থেকে স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ২০টি প্যাকেট থেকে ২৩ কেজি ৪৭০ গ্রাম (২০১২ ভরি) ভারতীয় তৈরীকৃত রুপার গহনা জব্দ করে। যার আনুমানিক বাজার মৃল্য ৪০ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
এ ঘটনায় বিজিবি সশস্ত্র টহল দল ৩ চোরাকারবারীকে আটক করে। আটককৃত চোরাকারবারী দর্শনা পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর গ্রামের মৃত হায়দোর আলীর ছেলে ওয়াসিম বিশ্বাস (৩৮) ওয়াসিম বিশ্বাসের স্ত্রী মোছাঃ রিমা খাতুন (২৭),ও একই গ্রামের মৃত হায়দোর আলীর স্ত্রী মোছাঃ আরবী খাতুন (৫৫),আটক করে। এ রুপার গহনা উদ্ধারের ঘটনায় বিজিবি পলাতক হিসাবে নাস্তিপুর গ্রামের শিমুল বিশ্বাসের স্ত্রী মোছাঃ সোনিয়া (৩০)ও আনছার আলীর ছেলে আমানত (৩২)কে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করে।
আজ বাড়াদী ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার জাকির হোসেন বাদি হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করে। ভারতীয় তৈরীকৃত রুপার গহনাগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।