চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ৬ বিজিবি চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা মূল্যের ৯ টি স্বর্নের বারসহ দর্শনা শ্যামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রুহুল আমিনকে (২১)আটক করা হয়েছে।
বিজিবি জানায় আজ রবিবার ৮ ডিসেম্ভর দুপুর আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবির) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, পিএসসির নেতৃত্বে অভিযান চালায় দামুড়হুদার ডুগডুগি বাজারের পাকা রাস্তার উপর। এ সময় দর্শনা বিওপি’র টহল কমান্ডার নায়েক মোঃ জিয়াউর রহমান, পিবিজিএম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ সীমান্তের পিলার ৭৭/২-এস হতে আনুমানিক ০৫ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ডুগডুগি বাজার পাঁকা রাস্তার পার্শ্বে এ্যাম্বুশ করে। সে সময় বিজিবি সন্দেহভাজন একজন ব্যক্তিকে মোটরসাইকেল যোগে উক্ত এলাকা দিয়ে অতিক্রম করতে দেখে তাকে গতিরোধ করে। পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তি পলায়নের চেষ্টা করলে টহল দল তাকে ধাওয়া করে মোটরসাইকেলসহ রুহুল আমিনকে আটক করে। পরে তার মোটরসাইকেলের অভিনব কায়দায় লুকানো হেড নাটের কভারের মধ্যে কালো স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় আনুমানিক ১ কেজি ১৭৮ গ্রাম ওজনের ৯টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। যার আনুমানিক মৃল্য ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
আটককৃত আসামীকে দর্শনা থানায় হস্তান্তর পূর্বক জব্দকৃত স্বর্ণের বারগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় দর্শনা বিওপি’র টহল কমান্ডার নায়েক মোঃ জিয়াউর রহমান বাদি হয়ে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেছে।
অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবির) অধিনস্থ মুজিবনগর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্তের মেইন পিলার ১০৮/৩-এস হতে আনুমানিক ২০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাজিরাকোনা মাঠের মধ্যে হাবিলদার মোঃ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩৬ পিস ভারতীয় শাড়ী, ১৫ পিস থ্রীপিছ এবং ২৯ পিস শাল চাদর আটক করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক মৃল্য ১০ লাখ টাকা।