সৌন্দর্য ও বিশুদ্ধতার প্রতীক ফুলের চাহিদা কোন কালেই কম ছিল না। ফুলের প্রতি মানুষের ভলোবাসা চিরন্তর। যে কোন উৎসব বা দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের চাহিদা থাকে ব্যাপক।
এবার ভালোবাসা দিবসে মেহেরপুরে ফুলের চাহিদা বেশ চোখে পড়ার মত। সেই চাহিদা আরেকটু বাড়িয়ে দিয়েছে বসন্ত উৎসব। ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত বরণ একই দিনে হওয়ায় উৎসবের আমেজটা একটু বেশি।
এবছর মেহেরপুরে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ফুল বিক্রির আশা করছে ব্যবসায়ীরা। তবে ছুটির দিন থাকায় একটু হতাশাও প্রকাশ করেছে তারা। ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত বরণকে কেন্দ্র করে জেলায় গড়ে উঠেছে স্থায়ী অস্থায়ী প্রায় অর্ধশত ফুলের দোকান।
গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, মল্লিকা, জারবেরা ইত্যাদি নানা রকম ফুলের সমাহার এইসব দোকান গুলোতে।
স্বার্নালী ফুল ঘরের মালিক রাশেদুজ্জামান বলেন, এবার ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত বরণ উৎসব একই দিনে হওয়ায় ব্যাপক ফুলের জোগান দিয়েছি। আশা করছি লক্ষাধিক টাকার ফুল বিক্রি হতে পারে। এবছর ফুলের দাম একটু বেশি। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় একটু একটু ভয়ে ভয়ে আছি, দেখা যায় শেষ পর্যন্ত কি হয়।
টুটুল ফুল ঘরের মালিক বলেন, গত বছর প্রায় একলক্ষ টাকার ফুল বিক্রি করেছিলাম এ বছর হয়তো হবে না। স্কুল-কলেজের ছেলে মেয়েরাই বেশি ফুল কেনে। শুক্রবার ছুটির দিনে এইসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে, তাই এবছর ফুল হয়তো বেশি বিক্রি হবে না।
মুজিবনগর থেকে শাকিল রেজা জানান, ভালোবাসা দিবস ও বসন্তবরণ উৎসবকে কেন্দ্র করে ভিন্নরুপে সেজেছে মুজিবনগর। সেই সাথে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ফুলের দোকান। বাহারি সব ফুলে সজ্জিত এইসব দোকান গুলো। মেহেরপুরের সব চেয়ে বড় ও ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্র হওয়ায় এখানে লোকের সমাগম হবে প্রচুর। সেই লক্ষে শুধু মুজিবনগরেই ২ লক্ষ টাকার ফুল বিক্রি হওয়ার টার্গেট করছে ব্যবসায়ীরা।
গাংনী থেকে শাহিন সিদ্দীকি জানান, গাংনীতে ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত উৎসব কে কেন্দ্র করে বেশ উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অপেক্ষাকৃত তরুন-তরুনীদের মাঝে আমেজটা বেশি। প্রিয় মানুষটাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে তারা। সেই লক্ষে ফুল বিক্রেতারাও বাহারি সব ফুলের সমাহার ঘটিয়েছে দোকানিরা। রাস্তার পাশে অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ফুলের দোকান।
মেপ্র/আরপি