দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামে পূর্বশত্রুতার জেরে ফলন্ত ৫ বিঘা জমির ধানে ঘাস মারা বিষ দিয়ে পুড়িয়ে দেবার ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, কানাই ডাঙ্গা গ্রামের বাহার আলীর ছেলে রজব আলীর সাথে একই গ্রামের কলিম উদ্দীন মাস্টারের ছেলে কামরুল গংয়ের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। জমির মালিক রজব আলী জানান কামরুলদের সাথে আমাদের জমি নিয়ে মামলা মোকর্দ্দমা বিজ্ঞ আদালতে চলমান। আমাদের জমি। সকল বৈধ কাগজপত্র সব আমাদের। আমরা আমাদের জমি ভোগদখল করে চাষাবাদ করে আসছি। তারা জাল কাগজ করে নিজেদের দাবী করে আসছে আমরা বলেছি তোমরা আদালয়ের রায় পেলে আমরা জমি তোমাদের হলে ছেড়ে দেবো। কিন্তু তারা জানে জমি তারা কখনো পাবেনা। তাই তারা বারবার আমাদের ফসল পুড়িয়ে দিচ্ছে। বিজ্ঞ আদালতের রায় পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করতে পারছেনা।গত সোমবার রাতে কলিম মাস্টারের ছেলে কামরুল, জান মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে সিদ্দিক, আয়ুব পালের ছেলে আহসান, আব্দুল হামিদ পালের ছেলে আজিজুল পাল সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে রাতের আঁধারে বারাকপুর মাঠে ২ বিঘা জমির লালস্বর্ন ধান ঘাসমারা বিষ দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
আমরা এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানায় গতকাল মঙ্গলবার একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। আজ বুধবার সকালে আবারো আতাতলার মাঠ ও খালের ধারে মাঠে এসে দেখছি আরো তিন বিঘা জমির পুরো ধান তারা রাতের আঁধারে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে তারা ৫ বার আমাদের ফসল পুড়িয়ে দিলো। আমরা কৃষক মানুষ। কি করে খাবো। ন্যায় বিচারের আশায় আজ দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছি। তাদের কি বিচার হবেনা। তারা কি টাকার জোরে পার পেয়ে যাবে। তারা পারলে ফসল পাকার পর কেটে নিয়ে গেলে তাও তো মনকে বুঝ দিতে পারতাম যে তারা ধান খেয়ে তাদের সংসার চালাবে। এরকম ফলন্ত ফসল পুড়িয়ে দিলে মনকে কি বলে সান্তনা দেবো।
এ বিষয়ে জানতে কামরুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)হুমায়ন কবিরের সাথে কথা বললে তিনি জানান বিষয়টা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে যথাযথ আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।