দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাডাঙ্গায় ২৭ শে আগষ্ট মঙ্গলবার (১২ ই ভাদ্র বাংলা) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮ তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে স্মৃতি বিজড়িত আটচালা ঘর চত্বরে কবীর স্মৃতি স্তম্ভে সকাল সাড়ে ১০ টায় পুষ্প মাল্য অর্পণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা। আটচালা ঘর মালিক প্রকৃতি বিশ্বাস বকুল,মধু বিশ্বাস, আপেল হোসেন, উসমান গনি প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন মাও: নুরুল আমিন।
নজরুল স্মৃতি বিজরিত আটচালা ঘর মালিক প্রকৃতি বিশ্বাস বকুল তিনি কবি নজরুল ইসলামের কার্পাসডাঙ্গায় আগমনের ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তরুণ বয়সে অনেকবার এসেছেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী জনপদ কার্পাসডাঙ্গায়। তার স্মৃতিবিজড়িত খড়ের আটচালা ঘরটি এখনো সাক্ষী হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু ঘরটি বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে। কবি যে এ ঘরেই অনেক দিন-রজনি কাটিয়েছেন, সে ব্যাপারে কারও দ্বিমত বা বিতর্ক নেই। তৎকালীন দামুড়হুদা উপজেলার ভৈরব নদের তীরবর্তী কার্পাসডাঙ্গা মিশনপাড়ার সরকার পরিবার ছিল জ্ঞান-গরিমায় বেশ সম্ভ্রান্ত। এ পরিবারের সন্তান শ্রী মহিম সরকার চাকরির সুবাদে থাকতেন কলকাতায়। কলকতা আমহার্স্ট স্ট্রিটে তিনি সপরিবারে বসবাস করতেন। মহিম সরকারের সঙ্গে কবি কাজী নজরুল ইসলামের খুবই সখ্য ছিল। তার বাড়িতে কবির আসা-যাওয়া ছিল আপনজনের মতো। তার দুই মেয়ে আভা রানি সরকার ও শিউলী রানি সরকার নজরুলগীতি চর্চা করতেন। তাদের গানের তালিম দিতেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম নিজে। পরবর্তীতে আভা রানি সরকারের গানের রেকর্ডও বের হয়। প্রখ্যাত লেখক ড. আশরাফ সিদ্দিকী অনুসন্ধান করে নজরুলের কথা ও সুরে আভা রানি সরকারের ছয়টি গানের রেকর্ড-তথ্য পান।
একাধিক তথ্যসূত্রে জানা যায়, মহিম সরকারের পারিবারিক আমন্ত্রণে একাধিকবার কবি নজরুল কার্পাসডাঙ্গায় এসেছেন। তবে ১৯২৬ সালে ২৭ বছর বয়সে কবি সপরিবারে এখানে বেড়াতে আসেন। এ সময় প্রায় দুই মাস কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থান করেন। তার সঙ্গে এসেছিলেন শাশুড়ি গিরিবালা, স্ত্রী প্রমীলা ও বড় ছেলে বুলবুল। তারা কলকাতা থেকে ট্রেনযোগে দর্শনায় নেমে ছয় মাইল পথ পাড়ি দিয়ে গরুর গাড়িতে করে কার্পাসডাঙ্গায় আসেন।