দামুড়হুদায় তাড়ি বাগানের ছড়াছড়ি ফলে এলাকায় মাতালের উৎপাত বেড়েছে। এতে এলাকায় সামাজিক পরিবেশের পাশাপাশি মাঠের ফসলের ক্ষতি সাধন হচ্ছে। মাতালরা তাড়ি খেয়ে ভুট্টা সহ নানান ফসল নষ্ট করছে। শুধু তাইনা নেশার টাকা জোগাড় করতে করছে চুরি ছিনতাই। ফলে এলাকায় আশঙ্কা জনক হারে বেড়েছে চুরি। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের লোকনাথপুর মাঠ, কাদিপুর মাঠ, দুধপাতিলার মাঠ, বাস্তপুর মাঠ, জয়রামপুর মাঠ সহ একাধিক মাঠের বেশ কয়েকটি স্পটে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে নেশাদ্রব্য তাড়ি। যা খেয়ে বিগড়ে যাচ্ছে তাড়ি খোররা। তাড়ি খাওয়ার এমনই নেশা একদিন না খেলে মাথায় কাজ করেনা খাদকদের। ফলে সকাল সন্ধ্যায় তাড়ি খোররা ভিড় জমায় তাড়ি বাগানে। নেশার টাকা জোগাড় করতে করছে চুরি ছিনতাই এর মতো জঘন্যতম কাজ।
শীতের সময় খেজুরের বাগানে তৈরি হয় তারি। বাগানে তাড়ি খেতে গিয়ে মানুষ মাতাল হয়ে আসার সময় মাঠের ফসল নষ্ট করছে। এমনভাবে নষ্ট করছে যে চারা গাছটি মরে যাচ্ছে। মাতাল অবস্থায় তারা কি করছে তার কোন বোধগম্য থাকে না। ফলে নষ্ট হচ্ছে বিস্তীর্ণ কৃষি খেত। কৃষকের ঘাম ঝরানো ফসল যদি এভাবে নষ্ট করে তাহলে তা খুবই দুঃখজনক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, তাড়ি খেয়ে মাতাল হয়ে ফসলের ক্ষতি করছে। তাড়ির মধ্যে এমন কিছু মেশানো হচ্ছে, যে তাড়ি খায় সেই মাতাল হয়ে বিগড়ে যাই। মাতালরা বাড়িতে গিয়ে উল্টা পাল্টা করে সংসারে ঝামেলা বাঁধায়, অশান্তির সৃষ্টি করছে। পরিবারের লোকজনকে মারধর করেছে, প্রতিবেশীর সাথে বিবাদে লিপ্ত হচ্ছে। তাড়ি খেয়ে স্ত্রী’কে বেদম প্রহারের ফলে থানায় অভিযোগ হতেও দেখা গেছে। খেজুরের সময় গাছিরা খেজুরের রস দিয়ে গুড় তৈরী করবে, কিন্তু তা না করে কতিপয় গাছিরা খেজুরের তাড়ি তৈরী করে সমাজকে কলুষিত করছে। এর থেকে পরিত্রাণে স্থানীয় এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।