দামুড়হুদায় ন্যায় বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে সদর ইউনিয়নের পার দামুড়হুদা গ্রামের ফকির মোহাম্মদ । আজ বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের পার দামুড়হুদা গ্রামের মৃত আব্দুল আলীমের ছেলে ভুক্তভোগী ফকির মোহাম্মদ। এসময় সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল (৩২) একজন দূর্বৃত্ত ও প্রতারক। সে আমার দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ কৃষি কাজে লেবার দেয়। সেই সুবাদে বিগত আনুমানিক ০৬ মাস পূর্বে গরু কিনবে বলে আমার নিকট থেকে ধারস্বরূপ ১৫,০০০/-(পনেরো হাজার) টাকা, ২য় ধাপে পানির পাম্প কিনবে বলে ১৪,০০০/-(চৌদ্দ হাজার) টাকা, ৩য় ধাপে আবারও ৪,০০০/-(চার হাজার) টাকা এবং ৪র্থ ধাপে আমার জমির আখ বিক্রয়ের ১৭,০০০/-(সতেরো হাজার) টাকাসহ মোট ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকা ধারস্বরূপ গ্রহণ করে। উক্ত টাকা গ্রহণ করার পর আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে ও কৃষি কাজে লেবার দেওয়া বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আমি উক্ত দুর্বৃত্ত এর নিকট আমার পাওনাকৃত টাকা ফেরত চাইলে দুর্বৃত্ত বলে তাহার গরু বিক্রয় করে আমার পাওনাকৃত সমুদয় টাকা পরিশোধ করবে বলে অঙ্গিকার করে। কিন্তু উক্ত দুর্বৃত্ত আমার টাকা পরিশোধ না করে আজ কাল করে বিভিন্ন ধরণের তালবাহানা করতে থাকে ও ঘুরাইতে থাকে।
গত ১৩/১১/২০২৪ তারিখ রোজ শুক্রবার আমার টাকা দেওয়ার দিন থাকায় ঐ দিন সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার সময় আমি দুর্বৃত্তের বাড়িতে গিয়ে আমার পাওনাকৃত টাকা চাইলে দুর্বৃত্ত হিসাব নিকাশে ভুল আছে বলে আমার সাথে তর্ক বিতর্ক শুরু করে দেয় এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে করতে আমার পরণে থাকা জ্যাকেটের কলার চেপে ধরে তার ভাইদের ডাকাডাকি করতে থাকে। তারপর দুর্বৃত্তের ভাইসহ আশে পাশের লোকজন লাঠি নিয়া দৌড়ে আসলে তখন আমি প্রাণে বাঁচার লক্ষ্যে তাকে ধাক্কা মেরে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত দুর্বৃত্ত আমার টাকা পরিশোধ করবে না বলে আমার নামে গত ১৫/১১/২০২৪ তারিখে বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ করে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমার টাকা ফেরত না দেওয়ার পায়তারায় লিপ্ত হয়েছে দুর্বৃত্ত জাহিদুল। আমি সাংবাদিক মহলের মাধ্যমে বলতে চাই, আমার পাওনাকৃত ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকা ফেরত চাই। কারণ আমি তাহার উপকারের জন্য টাকা ধার দিয়েছি যা তাদের পরিবারের মানুষ জানতো। তা সত্ত্বেও তারা মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তুলে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যসহ আত্মীয়- স্বজনদেরকে সমাজের মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করছে। বিষয়টির সঠিক সমাধান হয় সেজন্য আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।