দামুড়হুদায় স্ত্রী ও পরিবারের উপর অভিমান করে মোঃ আবু বক্কর মিলন (২০) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নে জুড়ানপুর গ্রামের মাদ্রাসা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবু বক্কর মিলন জুড়ানপুর গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের বড় ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ৩০ শে আগস্ট সকালে নিজ বসত ঘরে ফ্যানের সাথে গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে আবু বক্কর মিলন। বাড়ির লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থা আরো অবনতি হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। গত শনিবার রাত ১১ টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
নিহতের প্রতিবেশীরা জানান, নিহত আবু বক্কর মিলনের সাথে দেড় বছর আগে হোগলডাঙ্গা গ্রামের নাজমুল হুদার মেয়ে নাজমিন আক্তার সেতুর সাথে বিবাহ হয়। নিহত আবু বক্কর মিলন ছিল রাজমিস্ত্রির লেবার। তাদের মধ্যে সংসার ভালোই চলছিল, ইতিমধ্যেই তার স্ত্রী নাজমিন ৬ মাসের অন্তঃসত্তা। গলায় দড়ি দেওয়ার আগে স্ত্রী ও পরিবারের মধ্য মন কষাকষি হয় তার। পরে রাগে অভিমানে পাশেই তার চাচার বাড়িতে ঘরের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।
নিহত আবু বক্কর মিলনের পিতা নজরুল ইসলাম জানান, মিলন তো মারা গেছে কিন্তু তার ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রেখে গেছে,তার দায়িত্ব আমাদেরই। ইতিমধ্যে গ্রামের ইউপি সদস্য ও তার শশুরের পরিবারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের সম্মতিক্রমে নিহত আমাদের পক্ষ থেকে মিলনের স্ত্রীকে ভরণপোষণের জন্য ১ লাখ বিশ হাজার টাকা দুই কিস্তিতে তিনশত টাকার স্ট্যাম্পে দেয়া হবে বলে লিখিত করে দিয়েছি।
দামুড়হুদা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শেখর চন্দ্র মল্লিক জানান, লাশ উদ্ধার করে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।